দ্য হিব্রু ইউনিভার্সিটি অব জেরুজালেমের গিভাত রাম ক্যাম্পাসে অবস্থিত দ্য ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব ইসরায়েলে (এনএলআই) রয়েছে ২৫ হাজারেরও বেশি ইসলামী পাণ্ডুলিপি ও বইয়ের বিশাল সংগ্রহ; যার মধ্যে নবম খ্রিস্টাব্দের বিরল পাণ্ডুলিপিও আছে। এই বিশাল সংগ্রহশালা ‘ডিজিটাইজ’ করা হবে এবং তা আগামী তিন বছরের জন্য অনলাইনে উন্মুক্ত করা হবে। ফলে বইপ্রেমীরা বিনা মূল্যে এসব পাণ্ডুলিপি দ্বারা উপকৃত হতে পারবে। ইসরায়েল সরকারের দাবি, আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় করতে তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এনএলআইয়ের ‘ইসলাম অ্যান্ড মিডল ইস্ট’ বিভাগের কিউরেটর ড. রাকেল ইউকেলেস বলেন, ‘পাঠাগারের সংস্কার কর্মসূচির অংশ হিসেবেই তা করা হচ্ছে। আমরা একটি সীমাবদ্ধ প্রাতিষ্ঠানিক পাঠাগারকে সত্যিকার জাতীয় পাঠাগারে পরিণত করতে চাচ্ছি—বিশ্বের অন্যান্য জাতীয় পাঠাগার যেমন। আমরা বিশ্ববাসীর সঙ্গে আমাদের সংগ্রহশালা ভাগ করতে চাই এবং তা বিনা মূল্যে ও সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে চাই। এটি আমাদের সব সংগ্রহের ব্যাপারেই সত্য। তবে পাঠাগারের ইসলামী সংগ্রহশালা উন্মুক্ত করার বিশেষ উদ্দেশ্য আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বিশ্বমানের ইসলামিক সংগ্রহ রয়েছে। আমার কাছে এটি আশ্চর্যের বিষয় নয়। কেননা ন্যাশনাল লাইব্রেরি জেরুজালেমে অবস্থিত, যা ইসলামসহ সব একেশ্বরবাদী ধর্মের আঁতুড়ঘর। এখানে দেড় মিলিয়ন মুসলিম নাগরিক রয়েছে। এটি তাদেরও লাইব্রেরি। আমরা মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছি, তাই খুবই স্বাভাবিক যে আমরা ইসরায়েলে মুসলিম সংস্কৃতি ও তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনের জন্য জায়গা তৈরি করব।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সেবা সংস্থা ‘আর্কাডিয়া’র অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের লক্ষ্যে কাজ করে আর্কাডিয়া। এ লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন সেবা সংস্থা ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে থাকে। ২০০২ সাল থেকে আর্কাডিয়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহযোগিতা করেছে।
সূত্র : আরব নিউজ।