মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১১:৫০ অপরাহ্ন

ঈদে বাড়বে না ট্রেন, ক্ষতি ৩০০ কোটি টাকা

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০
  • ৪৫ জন নিউজটি পড়েছেন

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে যখন সড়ক যোগাযোগ প্রায় বন্ধ তখন যাত্রীদের যাতয়াতের সুবিধার্থে গত ৩১ মে থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চালু করে রেলওয়ে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রতি ২ সিটে ১ একজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছিল ট্রেনগুলো, কিন্তু বর্তমান করোনা সংক্রমন বাড়ার কারণে রাজধানীসহ দেশের অনেকাংশ স্থানে লক ডাউন, অফিস আদালত বন্ধ থাকার কারণে সেই অর্ধেক যাত্রীও হচ্ছে না রেলের। যাত্রী না থাকায় ১৭ দিনের মাথায় চট্টগ্রামমুখী ‘সোনার বাংলা’ এবং ঢাকা-নোয়াখালী পথের ‘উপকূল এক্সপ্রেস’র সাময়িক স্থগিত করতে বাধ্য হয় রেলওয়ে।

যে রেলওয়ে দিনে ২ থেকে আড়াই লাখ যাত্রী পরিবহন করতো সেই রেলওয়ে বর্তমানে মাত্র ১৭ হাজার যাত্রী পাচ্ছে দিনে। ফলশ্রুতিতে প্রভূত লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে রেলওয়েকে, গত দু মাসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে রেলসূত্রে জানা গেছে।

রেল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে করোনা সংক্রমনের ভয়ে যাত্রীর সংখ্যা দিনে দিনে কমছে। এতে রেলের লোকসান বাড়ছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রুটে ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করলেও অর্ধেকেরও বেশী আসন ফাঁকা থাকছে। সেই হিসাবে বেশিরভাগ ট্রেন যাত্রী ধারণ ক্ষমতার ৬০-৭০ শতাংশ আসন ফাঁকা নিয়েই যাতয়াত করছে। যার ফলে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে রেলওয়ে।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, করোনার ভয়ে অনেকেই ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। তাছাড়া আমরা বিশেষ কয়েকটি রুটে ট্রেন চালাচ্ছি যাত্রীদের সুবিধার্থে, এটা একটি সেবা মূলক সংস্থা, সুতরাং লাভ লোকসান হিসেব করলে সেবা দেয়া যাবে না। তবে নতুন করে ঈদের আগে আর কোন ট্রেন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানান মন্ত্রী।

রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. মিয়া জাহান বলেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে ট্রেন চালান হচ্ছে। ৫০ শতাংশ সিট বাদ দিয়ে এসব ট্রেনে আসন সংখ্যা ২৩ হাজার ৫০০ এর মতো। লকডাউনের পর শুরুতে এসব ট্রেনের ওই আসনগুলোতে যাত্রী ভর্তি হয়ে গেলেও এখন তা হচ্ছে না। গত ১৫ দিনের হিসাবে গড়ে এসব টিকেট ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অর্থাৎ গড়ে দিনে ১৭ হাজারের মত বিক্রি হয়েছে, বাকি সিট ফাঁকা গেছে।

মিয়া জাহান জানান, রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর এবং বাকি ২৬০টির মতো লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে । একটি পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের জুন নাগাদ রেলে ৯ কোটি ২৭ হাজার যাত্রী চলাচল করেছে। প্রতি মাসে গড়ে ৭৫ লাখের বেশি যাত্রী রেল ভ্রমণ করছিল স্বাভাবিক সময়ে।

রেলের কর্মকর্তারা মনে করছেন, সব টিকেট অন লাইনে হওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা সে সুবিধা নিতে পাচ্ছেন না। কাউন্টার টিকেট কাটার ব্যবস্থা, বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে টিকেট বিক্রি করলে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ার ফলে যাত্রীরাই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না, যার ফলে রেলযাত্রীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে বলে মনে করছে রেলওয়ে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English