করোনা সংকটের মধ্যে বিধি নিষেধ অমান্য করে মোটরসাইলে বের হয়েছিলেন, এই অপরাধে তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। জব্দ করা মোটরসাইকেল ছাড়াতে ঘুষ দাবির অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতে ওই পুলিশ স্টেশনেই শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আফ্রিকার দেশ উগান্ডার এক যুবক।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাজধানী কাম্পালা থেকে ৮০ মাইল দূরের শহর মাসাকার এ ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হোসেইন উয়ালুগেমবির মৃত্যুর পর উগান্ডার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। নতুন করে আলোচনায় এসেছে পুলিশের অবস্থান নিয়েও।
আঞ্চলিক পুলিশের মুখপাত্র নবুগা মোহাম্মদ জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সকাল-সন্ধ্যার কারফিউ চলছে সেখানে; এর মধ্যেই ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে নিয়ে বের হয়েছিলেন ২৯ বছর বসয়ী এক যুবক। এই যানটি চালাচ্ছিলেন তার সঙ্গে থাকা আরেকজন।
তিনি জানান, জব্দ করা মোটরসাইকেলটি নিতে এসেছিলেন এই যুবক। এ সময় পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা তার কাছে ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ। এরপরই তিনি আত্মহত্যা করেন।
কেন্দ্রীয় পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার সময় পুলিশের এক কর্মকর্তাকে জড়িয়ে ধরে হত্যার চেষ্টা করেছেন হোসেইন। তবে ওই কর্মকর্তা সামান্য আহত হলেও নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছেন।
এতে বলা হয়েছে, দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।