যত দিন যাচ্ছে ভারতে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ততোই বেড়ে চলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুধবারের পরিসংখ্যান দেখলে শিউরে উঠতে হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৭ জনের প্রাণ কেড়েছে এই মারণ ভাইরাস। ফলে সব মিলিয়ে ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ৪০০ তে পৌঁছলো। ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৩ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার থেকে বুধবার সকালের মধ্যে নতুন করে কোভিড-১৯ বাসা বেঁধেছে ১৮ হাজার ৬৫৩ জনের দেহে। মঙ্গলবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণের সময় দেশে করোনা সংক্রমণের দ্রুতহারে বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার মতে, ঠিক সময়ে লকডাউন করে ভারতে অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনার মারণ দাপট কমানো গেলেও, আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই এই রোগের সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। এর কারণ হিসাবে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের অসচেতন আচরণকেই দায়ী করেছেন। ফের একবার দেশবাসীকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করেন নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা লাগাতার বৃদ্ধি পেলেও চিকিৎসা সহায়তায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন বহু করোনা রোগীই। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে করোনাভাইরাসের কবল থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর পরিমাণ ৫৯.৪৩ শতাংশ।
এই রোগ থেকে বাঁচতে আরও বেশি করে করোনা পরীক্ষার উপর জোর দিচ্ছে সরকার। ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৮৮ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৫ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। শুধু গতকালই (মঙ্গলবার) ২ লাখ ১৭ হাজার ৯৩১ জনের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮.৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে ৫টি রাজ্যে সর্বাধিক সংখ্যক করোনা সংক্রমণ হয়েছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র (৪,৮৭৮), তামিলনাড়ু (৩,৯৪৩), দিল্লি (২,১৯৯), কর্নাটক (৯৪৭) এবং তেলেঙ্গানা (৯৪৫)। একদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগীর মৃত্যুর হিসাবেই প্রথমে রয়েছে মহারাষ্ট্রই, সেখানে গত একদিনে মোট ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই রয়েছে দিল্লি (৬২), তামিলনাড়ু (৬০), উত্তরপ্রদেশ (২৫) এবং কর্নাটক (২০)।