শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন

এবার গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের পরীক্ষা হবে আইসিডিডিআর,বিতে

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০
  • ৪৭ জন নিউজটি পড়েছেন

অ্যান্টিবডি কিট নিয়ে ঔষধ প্রশাসনের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।

তিনি জানান, অ্যান্টিবডি কিটের আবার পরীক্ষা হবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। আগামী দু’ এক দিনের মধ্যেই আমরা আইসিডিডিআর,বিতে যাব।

রোববার ঔষধ প্রশাসনের সঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় কিটের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী-গবেষক ড. বিজন কুমার শীলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, অ্যান্টিবডি কিটের বিষয়ে আমরা আমাদের ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন রিপোর্টকে আমলে এনে নিবন্ধনের অনুরোধ করেছিলাম। ঔষধ প্রশাসন বিদ্যমান সরকারি নিয়মে আবার কন্ট্র্যাক্ট রিসার্চ ফার্মের (সিআরও) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে এক্সটারনাল ভ্যালিডেশন করতে বলেছে। আমাদের আবেদিত রিয়েজেন্টের জন্য অনাপত্তি সনদ (এনওসি) দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক আমাদের কথা ইতিবাচকভাবে শুনেছেন এবং সর্বাত্মক সহায়তা করতে চেয়েছেন। অ্যান্টিবডি কিট আরেকবার পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। কিন্ত সেই পরীক্ষা করার সক্ষমতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নেই। এটি করতে পারবে আইসিডিডিআর,বি। আগামী দু’ এক দিনের মধ্যেই আমরা আইসিডিডিআর,বিতে যাব।

তিনি বলেন, আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে কিট পরীক্ষা করতে খুব কম সময় লাগবে। ১০০ থেকে ১৫০টি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করলেই ফলাফল পাওয়া যাবে। ৫০টি পজিটিভ স্যাম্পল ও ১০০টি নেগেটিভ স্যাম্পল পরীক্ষা করলেই হবে। এতে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় লাগতে পারে এবং অন্যান্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সময় লাগবে।

ড. বিজন কুমার শীল বলেন, অ্যান্টিবডি ট্রায়ালের আগে বা ট্রায়াল চলাকালে আমাদের জানানো হয়নি ভ্যালিডেশনে এফডিএ’র আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করা হবে। বিএসএমএমইউ সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। যে কারণে কিট মূল্যায়নে সমস্যা হয়েছে। অ্যান্টিজেন কিটের ক্ষেত্রে আমরা আগেই বলেছি, কোন প্রক্রিয়ায় ট্রায়াল হবে তা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগেই নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর একটি গাইডলাইনের খসড়া প্রণয়ন করেছে। আগামী বুধবারের মধ্যে অ্যান্টিজেন কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার গাইডলাইন চূড়ান্ত হবে। তার আগে খসড়া অনুযায়ী আমরা আবেদন করতে পারবো।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English