করোনা পরিস্থিতিতেও পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে কাঁচা পাটের প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে ১৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী লকডাউন, কারখানা বন্ধ, ক্রেতাদের ক্রয় আদেশ বাতিলের নেতিবাচক সিদ্ধান্তও পাটের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি।
এমনটিই মনে করছেন বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) নেতৃবৃন্দ। তাদের মতে করোনা সংকটে যখন বিশ্ব অর্থনীতি হিমসিম খাচ্ছে তখন পাট পণ্যের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য এক বড় সুসংবাদ।
এ বিষয়ে বিজেএর সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভুঁইয়া তার বন্দরের মদনপুরের কার্যালয়ে বুধবার আলাপকালে জানান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেছিলেন, কাঁচা পাট রফতানি বন্ধ হবে না। তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রফতানি হয়েছে।
এ জন্য বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তার দূরদর্শিতায় করোনার সময়েও পাট পণ্য রফতানি বেড়েছে।
আরজু রহমান ভুঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের অনেক সদস্যের একশ’ থেকে দেড়শ’ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এখন পাটের নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে। নতুন মৌসুমে বিজেএমসি জুট মিলের পাট ব্যবসায়ীদের যে পাওনা রয়েছে তার ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পরিশোধের অনুরোধ করছি।