শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন

করোনায় আসছে নতুন মুদ্রানীতি

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০
  • ৫১ জন নিউজটি পড়েছেন

মহামারি করোনার আগে থেকেই বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ছে ধীরগতিতে। করোনার পর থেকে এ গতি আরো মন্থর হয়ে পড়েছে। এমনকি করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ বিতরণেও তেমন গতি নেই। এতে সদ্যঃসমাপ্ত অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ব্যাংকের ঋণপ্রবাহ তলানিতে নেমে গেছে। সরকারও বড় অঙ্কের ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চলতি বাজেটে। সরকার ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণের ঋণ নিলে স্বাভাবিকভাবেই বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ আরও কমবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ অবস্থায় ২০২০-২১ অর্থবছরের মুদ্রানীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য নতুন মুদ্রানীতিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করা হচ্ছে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো। চলতি মাসের শেষের দিকে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।

করোনাকালীন এমন সঙ্কটের মাঝে ইতোমধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের মুদ্রানীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কাঙ্খিত জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাজারে মুদ্রা ও ঋণ সরবরাহ সম্পর্কে একটি আগাম ধারণা দিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতিবছর মুদ্রানীতি প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত নেয়া হয়। এবারও মতামত নেয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে করোনার কারণে এবার সংশ্লষ্ট অংশীজনদের নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনাসভার আয়োজন করা থেকে বিরত থাকছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরিবর্তে ই-মেইলে মতামত নেয়া হচ্ছে। আর সর্বধারণের মতামত নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ছিল মতামত দেয়ার শেষ দিন। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, করোনাকালীন অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ নতুন মুদ্রানীতির মূল ফোকাস হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক উভয় চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিতে হবে। মন্দার যে প্রভাব দেশের রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের ওপর পড়ছে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা মোকাবেলা করার পদক্ষেপ থাকতে হবে। এ জন্য সম্প্রসারণমুখী মুদ্রানীতি দিতে হবে, যাতে বিনিয়োগ বাড়ে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে দেশে মোট বিনিয়োগের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৮ দশমিক ৬ এবং বেসরকারি বিনিয়োগ ২৪ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু করোনার কারণে অর্থবছরের শেষ ৩ মাসে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে যায়। এ কারণে সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্য কমিয়ে আনা হয়। সংশোধিত বাজেটে মোট লক্ষ্য ধরা হয় ২০ দশমিক ৮ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগ ৮ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ করা হয়। আর বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ শতাংশ কমিয়ে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ করা হয়।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাজেটে ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত থেকে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে ব্যাংকের ঋণ দেয়ার সক্ষমতা কমে যাচ্ছে বেসরকারি খাতে। যদিও বেসরকারি খাতে ঋণ চাহিদা রয়েছে, কিন্তু ব্যাংকগুলো দিতে পারছে না।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English