‘ল্যানসেটে’ মেডিকেল গবেষণা নিবন্ধে প্রকাশিত বিশ্লেষণসহ আরও অনেক গবেষণায় প্রতিপন্ন যে, ফেস-মাস্ক ব্যবহার অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে, করোনাভাইরাসটির বিস্তারকে ধীর ও দূরত্বের ছড়িয়ে পড়া হ্রাস করতে সহায়তা করে বলে মুখে কাপড়ের ফেস মাস্ক জনসমাবেশ-জনসমাগমস্থল ব্যাপকভাবে প্রত্যেককে ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে (বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, মার্কিন সিডিসি)। এন-৯৫ (কেএন-৯৫/এফএফআর-২) এবং তিনস্তর মেডিকেল মাস্ক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মেডিকেল মাস্কের নমনীয় বেনডেবল প্রান্তটি উপর দিকে, মাস্কের রঙিন দিকটি (হাইড্রোফোবিক পলিমার) সাধারণত সামনে থাকে ও ভেতরে নরম-শোষণকারী স্তর থাকে। জনগণের জন্য সাধারণ কাপড়ের মাস্ক পরিধান ও ব্যাপক ব্যবহার তাদের ভাইরাসের সংক্রমণরোধে সহায়ক। প্রত্যেকের জন্য ফেস মাস্ক তখনই প্রতিরোধমূলক যখন আমরা সবাই সঠিকভাবে ব্যবহার করব ও অন্যকে সঠিকভাবে ব্যবহারে উৎসাহিত করব। মনে রাখতে হবে, মাস্ক পরার আগে সাবান পানি দিয়ে সঠিকভাবে হাত ধুয়ে ফেলব বা হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করব এবং মাস্কটি সঠিকভাবে অপসারণের পরে আবারও হাত ধুয়ে ফেলব।
ফেস মাস্কটি পরার আগে দেখে নিন, ফেস মাস্কটি ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা নোংরা কিনা এবং মাস্ক মুখের সঙ্গে সামঞ্জস্য সমন্বয় করুন। আপনার মুখ-নাক এবং চিবুক ঢেকে রাখুন, পরার পরে মুখের মাস্কটি সংক্রামিত বা দূষিত হাত দিয়ে সামনে স্পর্শ অথবা ক্রমাগত পরাটা সংশোধন করবেন না। যদি স্পর্শ করতেই হয় তবে সাবান পানি বা অ্যালকোহলভিত্তিক হাত ঘষা দিয়ে আপনার হাত পরিষ্কার করার পর মাস্কটি স্পর্শ করবেন (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)। কাপড়ের মাস্কটি খোলার সময় কানের পেছনে স্ট্র্যাপ দিয়ে মাস্কটি সরিয়ে ফেলুন, ব্যবহৃত কাপড়ে মাস্কটি ২০ মিনিট গরম সাবান পানিতে ভিজিয়ে রাখার পরে (অথবা ওয়াশিং মেশিন) ধুয়ে ফেলুন। পরবর্তী সময়ে পরিষ্কার শুকনোটি আবার ব্যবহার করুন।
মাস্কটি কখনই নাকের নিচে বা চিবুকের নিচে পরা যাবে না; পরলে পরিবর্তন করতে হবে, অন্য একটি পরিষ্কার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নোংরা, স্যাঁতসেঁতে বা ভেজা মাস্ক পরা যাবে না। স্যাঁতসেঁতে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাস্কটি প্রতিস্থাপন করুন অথবা প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা পরে পরিবর্তন করতে পারলে ভালো।
দু’বছরের কম বয়সের শিশু ও যাদের মাস্ক পরা থেকে দমবন্ধ বা শ্বাসকার্যের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তাদের মাস্কমুক্ত থাকতে হবে। মাস্কটি সঠিকভাবে পরিধান আপনার সংক্রমিত হওয়া বা করার উভয় ঝুঁকি হ্রাস করে। মাস্কটি সঠিকভাবে পরিধান লক্ষণহীন, প্রাক-লক্ষণযুক্ত এবং লক্ষণযুক্ত রোগী থেকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস করে যদি অন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়।