মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১০:০১ পূর্বাহ্ন

গত অর্থবছরে রপ্তানি কমেছে ৫৮ হাজার কোটি টাকার

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০
  • ৩৮ জন নিউজটি পড়েছেন

দেশের রপ্তানির ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে বছর পার করল বাংলাদেশ। সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ৬৮৬ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা। রপ্তানিকারকরা বলছেন, এত বেশি পরিমাণে রপ্তানি কমে যাওয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, গত অর্থবছরে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। অন্যদিকে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি কমেছে ২৬ শতাংশ।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। যদিও করোনার আগে থেকেই রপ্তানিতে ধারাবাহিকভাবে কিছুটা ঋণাত্মক গতি ছিল। করোনা সেই অবস্থাকে আরো নাজুক করে তুলেছে। গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রধান রপ্তানি পণ্য মোট ২ হাজার ৭৮৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে বছরটিতে। আগের অর্থবছরে পোশাক পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলার। সেই হিসাবে কেবল পোশাক পণ্য রপ্তানিই কমেছে ৬৩০ কোটি ডলার। অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি কম হয়েছে ১ হাজার ১৮৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৫৫০ কোটি ডলারের।

অন্যতম রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চলতি মাসের কিছু ক্রয়াদেশ তার কারখানায় রয়েছে। কিন্তু এর আগস্ট থেকে পরবর্তী মাসগুলোর রপ্তানি আদেশ নেই বললেই চলে। সেপ্টেম্বর থেকে মূলত পরবর্তী গ্রীষ্মের রপ্তানির পণ্য তারা তৈরি করেন। এসব ক্রয়াদেশ নিয়ে মূলত এই সময়টিতে আলোচনা হয়। কিন্তু এবার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। রপ্তানির অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে আশঙ্কা করে তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত পর্যটকের স্বাভাবিক চলাচল শুরু না হবে, ততদিন পোশাক জাতীয় পণ্য তেমন বিক্রি হবে না। ফলে আমাদের রপ্তানি আদেশও কমতির দিকেই থাকবে।

অবশ্য তার এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, করোনা শুরুর সময় পরিস্থিতি যতটা খারাপ ছিল, এখন তার অগ্রগতি হয়েছে। গেল জুনের রপ্তানির চিত্র দেখলে তা বুঝা যাবে।

ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, পাট এবং ওষুধ ছাড়া পণ্য তালিকার উল্লেখযোগ্য আর কোনো পণ্যেরই রপ্তানি বাড়েনি বছরটিতে। পাটের রপ্তানি বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় আট শতাংশ। মোট ৮৮ কোটি ডলারের পাট ও পাটপণ্য রপ্তানি হয়েছে। অন্যদিকে ওষুধের রপ্তানি বেড়েছে চার শতাংশ। রপ্তানি হয়েছে ১৪ কোটি ডলারের ওষুধ।

ইপিবির হিসেব অনুযায়ী, গেল জুনে রপ্তানি কমেছে পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। অবশ্য লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কমেছে ৩১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ২৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৭৮ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English