করোনাভাইরাস ঠেকাতে মাস্কের কোনো বিকল্প নেই। প্রথমে মানুষ এটা গ্রহণ না করলেও এখন বাংলাদেশের পথেঘাটে বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়। এর মাঝেই যাঁরা প্রযুক্তি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁরা এই সাধারণ মাস্কে যুক্ত করে দিয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এমনই এক ‘স্মার্ট মাস্ক’ বানিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে জাপানি স্টার্টআপ সংস্থা ডোনাট রোবটিকস। জাপানি থেকে আটটি পৃথক ভাষায় অনুবাদ করার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এই ‘স্মার্ট মাস্কে’র।
৪০ ডলার দামের এই মাস্কটিকে স্মার্টফোন বা ট্যাবের সঙ্গে ব্লুটুথের মাধ্যমে যুক্ত করা যায়। এর ফলে স্পিচ ইনটু টেক্স মেসেজ (অর্থাৎ আপনাকে মেসেজ লিখতে হবে না, কিছু বললেই এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাস্ক সেটা লিখে নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দেবে), ফোন করাসহ একাধিক পরিষেবা পাবেন ব্যবহারকারী। শুধু তা-ই নয়, মুখ ঢাকা অবস্থায় গলার আওয়াজ কমে যাওয়ার মতো সমস্যার সমাধানও করবে এই স্মার্ট মাস্ক। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এটি ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বরের জোর অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।
ডোনাট রোবটিকসের প্রধান নির্বাহী তাইসুকে ওনো বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি রোবট নিয়ে কাজ করছিলাম। টোকিওর হেনেডা বিমানবন্দরের রোবট গাইড ও অনুবাদকের একটি প্রকল্পও হাতে এসেছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় কম্পানি চালানোই কঠিন হয়ে পড়ে। তখন সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা এই অভিনব মাস্কের পরিকল্পনা করেন।’
এই মাস্কটি বাজারে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যে কারণে প্রস্তুতকারী কম্পানি মাত্র ৩৭ মিনিটের মধ্যে ২৮ মিলিয়ন ইয়েন ব্যবসা করে ফেলেছে! রোবটের জন্য যেসব প্রযুক্তি আবিষ্কার করা হয়েছিল, তার বেশ কিছু স্মার্ট মাস্কেও রয়েছে। চীন, আমেরিকা ও ইউরোপে এর তুমুল চাহিদা তৈরি হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পাঁ হাজার সি-মাস্ক বানিয়ে বিক্রি করতে চলেছে সংস্থাটি। শেয়ারের দামও দ্রুত বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ওনো।