করোনাভাইরাস সংকট থেকে উত্তরণে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে গতি বাড়াতে ব্যাংক-গুলোকে আবারও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষ করে শিল্প ও সেবা খাতের ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ চলতি জুলাই ও আগামী আগস্টের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের এক বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে একটি সার্কুলার লেটার জারি করে বৃহস্পতিবার রাতেই ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বৈঠকের আলোকে রাতেই জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, সেবা ও কৃষি খাতসহ আয়-উৎসারী কর্মকাণ্ড পুনরায় সচল করার জন্য বিভিন্ন ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
এসব প্যাকেজ যথাসময়ে বাস্তবায়িত না হলে প্যাকেজ প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। এ অবস্থায় প্রণোদনা প্যাকেজের অধিকাংশই চলতি জুলাই মাসের মধ্যে এবং বাকি অংশ আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রণোদনা প্যাকেজ দ্রুত ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে গভর্নরের সভাপতিত্বে ১৭ জুন ও ২ জুলাই ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা প্যাকেজের আওতায় ৫০০ কোটি ও তদূর্ধ্ব অংকের ঋণ বরাদ্দ পাওয়া ব্যাংক এবং কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের জন্য ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের আওতায় ৩০০ কোটি ও তদূর্ধ্ব অংকের বরাদ্দ পাওয়া ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরা অংশ নেন।
ওই সভায় ব্যাংকের প্রতিনিধিরা জুলাই মাসের মধ্যে প্যাকেজের সিংহভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে অবহিত করেন। প্যাকেজ বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়। এর আগে একাধিকবার প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ দ্রুত ছাড় করতে ব্যাংকগুলোকে তাগিদ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, করোনার প্রভাব মোকাবেলা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৮টি ঋণনির্ভর ৮২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ওই দুটি ৫০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ। এগুলোর বাস্তবায়ন দেরি হচ্ছে। বাকি প্যাকেজগুলো চলমান রয়েছে।