গাজী মাজহারুল আনোয়ার, গীতিকার
আমরা একের পর এক শিল্পীকে হারাচ্ছি। এন্ড্রু কিশোরকে হারানোর ক্ষতি কখনো পুষিয়ে ওঠা যাবে না। বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
সাবিনা ইয়াসমিন, শিল্পী
আমি এখন কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই। নিজেকে বুঝিয়ে উঠতে সময় লাগবে। সব সময় সব কিছু মেনে নেওয়ার পরিস্থিতি থাকে না।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
এন্ড্রুর গলার সহজ স্বাভাবিক স্বর এবং অনুকরণীয় গায়কি তাঁকে আর সবার থেকে আলাদা করেছে। মৃদু তরঙ্গের নদীর জলের মতো তাঁর কণ্ঠ আমাদের সুরের জগতে ভাসিয়ে নিত। কোনো ঝাঁকুনি নেই। তাঁর গান শুনলে অনুভব হতো যেন বা এক মৃদুদুলুনির নদীতে আমরা ভেসে যাচ্ছি। এমন কণ্ঠ নিয়ে আর কে আসবে এই পোড়ামাটির দেশে। বিদায় এন্ড্রু! চিরজীবন মনে রাখব তোমায়।
হানিফ সংকেত, অনুষ্ঠান নির্মাতা
এই মুহূর্তে কানে বাজছে রাজশাহী থেকে বলা কিশোরের শেষ কথাগুলো, ‘দোয়া করিস বন্ধু, কষ্টটা যেন কম হয়, আর হয়তো কথা বলতে পারব না।’ সবাইকে কাঁদিয়ে আজ সন্ধ্যায় এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় এন্ড্রু কিশোর—বাংলা গানের ঐশ্বর্য, যাঁর খ্যাতির চেয়ে কণ্ঠের দ্যুতিই ছিল বেশি। অনেক কষ্ট পেয়েছি বন্ধু, এত তাড়াতাড়ি চলে যাবি ভাবিনি। কিশোরের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
শাকিব খান, অভিনেতা
এন্ড্রু কিশোর গানের বরপুত্র। আমি তাঁর কণ্ঠ দেওয়া শতাধিক গানে ঠোঁট মিলিয়েছি। ‘কি যাদু করেছো বলো না’ কিংবা ‘এক বিন্দু ভালোবাসা দাও’-এর মতো গান আমাদের রয়েছে। আজ হঠাৎ দাদাকে হারিয়ে ফেললাম। দুই বছর আগেও দাদা আমার জন্য ‘পাংকু জামাই’ ছবিতে গেয়েছিলেন। এমন কণ্ঠ আর আমরা পাব না। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
তিমির নন্দী, শব্দসৈনিক
অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে। তাঁর দুটি ছেলে-মেয়ে আমার ছাত্র-ছাত্রী। সেই সূত্রে আরো বেশি কাছে এসেছিলাম আমরা। কিশোরদা, আমাদের ছেড়ে যেখানে চলে গেলেন, প্রার্থনা করি, আপনি সেখানে যেন ভালো থাকেন। আপনাকে খুব মিস করব আমরা। তবে আপনার সৃষ্টিতে আপনি আজীবন বেঁচে থাকবেন।
ফরিদ আহমেদ, সংগীত পরিচালক
এন্ড্রু দাদা শেষ প্লেব্যাক করেছিলেন আমার সুর ও সংগীতে। গত বছর অসুস্থ হওয়ার আগেই গানটি রেকর্ড করেছিলাম। এখনো মিক্স ও মাস্টার করিনি। ‘অধিকার’ ছবিতে গানটি ব্যবহার করি। আজ দাদা আমাদের মাঝে নেই ভাবতেই চোখে জল আসছে।