নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের ব্যয় বহুগুন বেড়েছে। কিন্তু আয়ে তেমন গতি নেই। ফলে ব্যাংক নির্ভরতা বাড়ছে। এমন অবস্থায় একটি মাত্র পথ খোলা আছে সরকারের কাছে। সরকার তাই কৃচ্ছতা সাধনের পথেই হাটছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নতুন গাড়ি কেনায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। গত বুধবার এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ মহাহিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবের কাছে পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগ।
গত অর্থবছর রাজস্ব আহরণে ৮৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে। কভিড পরিস্থিতিতে এ অর্থবছরও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, মানুষের হাতে টাকা নেই। চলমান কভিড-১৯ এর ছোবলে দেশের সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা কতদিন স্থায়ী হবে তা কেউ বলতে পারছে না। বিষয়টি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও জানেন। তাই কৃচ্ছতা সাধনের নীতি আরেক ধাপ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ (৬) অধিশাখা জারি করা বলা হয়েছে, চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলা ও সরকারের কৃচ্ছতা সাধন নীতির আলোকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব সরকারি, আধা-সরকারি স্বায়ত্বশাসিত ও অনান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের আওতায় সব ধরনের নতুন/প্রতিস্থাপক হিসেবে যানবাহন ক্রয় বন্ধ থাকবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে পরিপত্রে বলা হয়েছে।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাজেট ঘোষনার পর পরই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়,সরকারি, আধা-সরকারি স্বায়ত্বশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নতুন গাড়ি কেনার জন্য প্রস্তুতি নেয়। অনেক সময় চলার উপযোগি গাড়ি রেখে নতুন গাড়ি কেনার প্রবনতা দেখা যায়। এ প্রবণতা বন্ধ করতেই পরিপত্র জারি করা হয়েছে।