বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে শিশুর শুধু পানি নয়, লাগবে অন্য উপাদান

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০
  • ৪৩ জন নিউজটি পড়েছেন

প্রচণ্ড গরমে এখন ডিহাইড্রেশন হতে পারে বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও। এর লক্ষণ কী? ঘুম থেকে ওঠার সময় মাথা দপদপ করেছে। খানিক কাজের পরই ঝিমুনি গ্রাস করছে দিনের বাকি সময়। খেতে মন চাইছে না। বমি বমি ভাব। শুয়ে থাকাই শ্রেয় মনে হচ্ছে। পায়খানাতেও সমস্যা মনে হচ্ছে। শরীরের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি ডিহাইড্রেশনের শিকার হয়েছেন।

ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হলে সাধারণত আমরা বেশি করে পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকি। পানির উপকারিতা অন্য কোনো উপাদান থেকে পাওয়া যায়না। কিন্তু পানি সব সময় সঠিক পরিমাণে খাওয়া হয়না। কার শরীরে কতটা পানির প্রয়োজন তা আমরা জানি না। বেশি করে পানি খেলেও সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

পানি বেশি করে অবশ্যই খেতে হবে। কিন্তু তার আগে শিশুর ওজন দেখে নিতে হবে। সেই মত ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে দিনে কতটা পানি খাওয়ার প্রয়োজন, সে বিষয়ে অবগত হতে হবে। কোনো বাচ্চার তিন লিটার বা কোনও বাচ্চার চার লিটার পানির প্রয়োজন হয়। অতিরিক্ত পানি পানি লিভারেও চাপ পড়তে পারে। তবে সাধারণত দিনে চার লিটার পানি খেতে পারে ১০ থেকে ১৫ বছরের ছেলে মেয়েরা।

এখন ঘরবন্দী, খেলাধুলা ঘরের মধ্যেই, বা কারর জীবনযাপন থেকে মুছে গিয়েছে দৌড়ঝাপ। তার পরেও যখনই পানি কম খাওয়া হয় তখনই ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে পানির পাশাপাশি তরল পদার্থ খাওয়ার চেষ্টা করুন। রসালো ফল খাওয়ানো উচিত বাচ্চাদের। এছাড়া, ব্রেকফাস্টের তালিকায় এক গ্লাস ফলের রস রাখতে পারেন। বিকেলে এক গ্লাস দুধ। এতে পুষ্টির সঙ্গে শরীরে জলীয় পদার্থের ভাগ বাড়বে। তবে দই ও দুধ খেতে যারা পছন্দ করেন না, তারা খেতে পারে বাটার মিল্ক। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় তরল, ক্যালরিও পেল, পুষ্টিও রয়েছে। অন্যদিকে, ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে ও পেট পরিষ্কার রাখে।

এছাড়া দিনে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম দরকার। রাত জাগলে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা প্রবল। অনেক সময় দেখা যায়, রাতে ২.৩০- ৩ টের সময় ঘুমিয়ে সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠছে বাচ্চা। সেক্ষেত্রেও ডিহাইড্রেশনের প্রবণতা বেশি। এতে খাওয়ারের সময়ের পরিবর্তন হয়ে যায়। ফলে পানি পান করে কিছুক্ষণ পর খাওয়া, এই রুটিনটা পালন করা সম্ভব হয়না।

বাচ্চার কতটা ঘাম হচ্ছে, সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীরে সোডিয়ামের ভাগ কমে যায়। সেক্ষেত্রে বাচ্চাকে স্যালাইন অথবা নুন চিনির পানি খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি ডাবের পানি, গ্রিন টি, বাড়িতে বানানো তাজা ফল বা সবজির স্যুপও বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English