‘লঞ্চটি তলিয়ে যাওয়ার সময় দেখি আমিও তলিয়ে যাচ্ছি। লঞ্চের যে জায়গাটিতে আটকে ছিলাম, সেখানে একটি রড ও ফোম ধরে রেখে লঞ্চের ভেতরে দাঁড়াতে পেরেছি। সেখানে আমি দুবার প্রস্রাব করেছি এবং ওজু করেছি। কিন্তু চেষ্টা করিনি লঞ্চের ভেতর থেকে বের হওয়ার। চেষ্টা করলে হয়তো আমি এখন বেঁচে থাকতাম না।’ বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হওয়া মো. সুমন বেপারী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মর্নিং বার্ড লঞ্চের ইঞ্জিনরুমের সঙ্গে থাকা এক কক্ষে আটকে ছিলাম। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে বলেই আমি সেখানে ফোম ও রড ধরে লঞ্চের ভিতরে দাঁড়াতে পেরেছি। সেখানে ওজু করে দোয়া দরূদ পড়েছি। লঞ্চটি যখন তলিয়ে যায়, দেখি আমিও তলাইয়া যাইতাছি।’
লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধারের পর কোস্টগার্ড ও নেভির কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রশ্ন করলে সুমন বেপারী চোখের ইশারায় কথার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন। দীর্ঘ সময় পানির নিচে আটকে থাকায় তার শরীরের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল। পানির নিচে তলিয়ে গেলেও সুমন বেপারী কিভাবে দীর্ঘ সময় বেঁচে ছিলেন- এ নিয়েই সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দিনভর নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল।
মঙ্গলবার ফল ব্যবসায়ী সুমন বেপারী সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার পরিবারের স্বজনরা তার কাছে আসেন।