ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিমউদদীন হলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হাসানের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। করোনা ভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বুধবার সন্ধ্যায় টিএসসি এলাকায় মাইকিং করাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হাসান সহ দুজন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদল নেতা মাহফুজ তার এক বান্ধবীকে নিয়ে গাড়িতে বসেছিলেন। এসময় ইমাম হাসান টিএসসি থেকে সবাইকে সরে যেতে বলেন। কিন্তু মাহফুজ যাবেন না বলে জানান। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাহফুজ গাড়ি থেকে নেমে ইমাম হাসানের শার্টের কলার ধরে। এসময় টিএসসিতে থাকা ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এসে ইমাম হাসানসহ তার দুই সহযোগীকে মারধর করে। তাদের মধ্যে মানিক নামে একজনের হাত ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।
হামলার শিকার কবি জসিমউদদীন হলের সদ্য সাবেক জিএস ইমাম হাসান বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আমি মাইকিং করছিলাম। তখন এক ভাইকে গাড়ি নিয়ে চলে যেতে বললে তিনি যাবেন না জানান। তখন তিনি ক্যাম্পাসের পরিচয় দেন। তখন আমি বললাম ক্যাম্পাস বন্ধ তাই আপনাকে চলে যেতে হবে। এই কথা বলায় তিনি আমাকে তুই-তুকারি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি গাড়ি থেকে নেমে আমার শার্টের কলার ধরে। তখন ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও আমাকে মারধর শুরু করেন।
তিনি বলেন, উদ্যানের গেটে খাবার বিক্রয়কারী মানিক দৌঁড়ে এসে আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মাহফুজের ডাকে ততক্ষণে শ্যামলসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আমাকে ও মানিককে মারতে শুরু করে। টিএসসিতে অবস্থানরত আমার বন্ধু সাহাদ আমিনকেও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মারধর করে। এতে আমার পা মচকে যায় এবং মানিকের একটি হাত ভেঙে গেছে। পরে আমরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেই। এ সময় মানবজমিনের ফটো সাংবাদিক জীবন আহমেদ ছবি তুলতে গেলে তার ক্যামেরা টেনে ধরে ছাত্রদল নেতারা।
ঘটনার বিষয়ে মাহফুজ বলেন, আমি টিএসসিতে গাড়ি নিয়ে দাঁড়াতেই ইমাম হ্যান্ড মাইকে আমাকে চলে যেতে বলে। তখন আমি বললাম ভাই একজন আসবে তাই দাঁড়িয়েছি তখন ইমামসহ তাদের সাথে থাকা কয়েকজন আমাকে তুই তুকারি শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে মারধর শুরু করে। ঘটনার সময় আমি সেখানে একাই ছিলাম। ছাত্রদলের কেউ ছিল না বলে তিনি জানান। এসময় দুজন মেয়েকেও মারধর করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।