নাটোরে শহরের হরিশপুর এলাকায় ঢাবির মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনকে হত্যার ঘটনায় মূল আসামি সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক এবং শশুর জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে নাটোরের সীমান্ত এলাকা বাঘা থেকে মোস্তাককে এবং শ্বশুর জাকির হোসেনকে নন্দিগ্রাম থেকে ভোররাতে গ্রেপ্তার করে। দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানায় পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
পুলিশ সুপার আরও জানান, নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর ঐ রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকার বাড়ি থেকে শাশুড়ি সৈয়দা মালেকা ও ননদ জাকিয়া ইয়াসমিন জুথিকে গ্রেপ্তার করে। তখন থেকে পলাতক ছিলেন সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক ও শ্বশুর জাকির হোসেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের ৮টি ইউনিট কাজ করে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শহরের বলাড়িপাড়া এলাকার প্রখ্যাত ইসলামি বক্তা মরহুম সিদ্দিকুর রহমান যশোরীর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী সুমাইয়া মাস্টার্স পরীক্ষা সম্পন্ন করে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। সুমাইয়ার পড়াশোনা ও চাকরি নিয়ে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়মিত তাকে নির্যাতন করত। সোমবার সকালে নির্যাতনের পর সুমাইয়া আত্মহত্যা করেছে দাবি করে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরে পুলিশ সুপার ঘটস্থল পরিদর্শন করেন। সোমবার (২২জুন) রাত ১টায় হত্যা মামলা রেকর্ড করে অভিযান শুরু করে পুলিশ