গত এক সপ্তাহে আবারো উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যা ( স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আলম জানান, এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন তিস্তার বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী পরিবারগুলোর তালিকা করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে বলা হয়েছে। তালিকা পেলে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ শুক্রবার রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে সবগুলো জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।