মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

দায়ী ময়ূর-২ লঞ্চ, চার দিনেও গ্রেপ্তার হননি কেউ

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০২০
  • ৩২ জন নিউজটি পড়েছেন

ঢাকা জেলা নৌ পুলিশের প্রধান পুলিশ সুপার খন্দকার ফরিদুল ইসলাম জানান, বেপরোয়া গতি নিয়ে সেদিন এমভি ময়ূর-২ লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা মেরে পানিতে ডুবিয়ে দেয়। লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী ময়ূর-২ লঞ্চটি। তবে চার দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

অন্যদিকে লঞ্চ দুর্ঘটনার চার দিন পার হলেও কেন এখনো আসামি গ্রেপ্তার করা যায়নি, সে ব্যাপারে খন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ময়ূর-২ লঞ্চটি। লঞ্চ দুর্ঘটনায় সেদিন বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রী আমাদের জানিয়েছেন, সেদিন মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড সঠিকভাবে সদরঘাটের দিকে এগিয়ে আসছিল। কিন্তু চাঁদপুর রুটের লঞ্চ ময়ূর-২ বেপরোয়া গতি নিয়ে কোনো প্রকার নিয়মের তোয়াক্কা না করে পেছন থেকে এসে মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা মারে। মুহূর্তের মধ্যে লঞ্চটি তলিয়ে যায়। আমরা ময়ূর-২–এর মাস্টারসহ অন্য সবাইকে গ্রেপ্তারে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে। আসামিরা সবাই ঢাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আমরা এখন ঢাকার বাইরে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।’

সদরঘাটের লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যুতে ময়ূর-২ নামের লঞ্চের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্ত করছে নৌ পুলিশ। পাশাপাশি লঞ্চ দুর্ঘটনায় সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার ১১ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে।

সদরঘাট লঞ্চ দুর্ঘটনার তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নৌ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলাম খান বলেন, বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জের ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মর্নিং বার্ডের মালিকের জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত শেষে যথাসময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

লঞ্চ দুর্ঘটনায় পুলিশের করা মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামি হলেন ময়ূর-২–এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ (৩২), লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা (৬৫), জাকির হোসেন (৫৪), শিপন হাওলাদার (৪৫), শাকিল হোসেন (২৮), নাসির মৃধা (৪০) ও হৃদয় (২৪)। তাঁদের মধ্যে বাশার দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার এবং জাকির হোসেন তৃতীয় শ্রেণির মাস্টার।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English