অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (লক্ষ্মীপুর-২) মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম পাপুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও কুয়েতের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। দেশটির পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে তদন্তের সময়ে পাপুল এ বক্তব্য দিয়েছেন। খবর আরব টাইমসের
পাপুল পাবলিক প্রসিকিউটরকে জানিয়েছেন, কুয়েতে তার কোম্পানিতে ৯ হাজার মানুষ কাজ করে। কুয়েতে কাজ করার জন্য তার একটি বৈধ আদেশ আছে।
পাপুল বলেছেন, ‘আমি যে কাজ করেছি সেটির সফলতা নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করতে পারবে না। কিন্তু কুয়েতের কিছু কর্মকর্তা আমার কাজ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদের ঠেকানোর জন্যই আমি ঘুষ দিয়েছি।’
তিনি জানিয়েছেন, তার কোম্পানিতে যে ধরনের ইকুইপমেন্ট আছে সেটি আর কোনো কোম্পানির কাছে নেই। তিনি গুণগতমান সম্পন্ন সেবা দিয়েছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কুয়েতের কিছু কর্মকর্তা।
প্রসিকিউটর অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, এর সঙ্গে অনেক ব্যক্তি জড়িত। এদের সবার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন।
গত ৬ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে সাংসদ পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের পুলিশ। সে দেশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা তার বিরুদ্ধে মানব পাচার ও প্রায় ৫৩ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার (প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা) পাচারের বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পর এবং জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এমপি পাপুল কুয়েতের অপরাধ তদন্ত সংস্থার কাছে নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার শুধু নয়, কুয়েতে তার সহযোগীদের নাম এবং ঘুষ দেওয়ার তথ্যও প্রকাশ করেছেন। স্বীকারোক্তির পর তার ব্যবাসায়িক প্রতিষ্ঠান মারাফি কুয়েতের একাউন্টে থাকা প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করার জন্যও উদ্যেগ নিয়েছে কুয়েত সরকার।