মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

পেট ভালো রাখতে পরামর্শ

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০
  • ৪২ জন নিউজটি পড়েছেন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে অনেক রোগীরই ডায়রিয়া, বদহজম, বমি, অরুচি প্রভৃতি পরিপাকতন্ত্রজনিত উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কাজেই খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
অন্ত্রে বসবাসকারী উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকার সঙ্গে পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতার একটা যোগসূত্র আছে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো ক্ষতিকর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে অনেক রোগীরই ডায়রিয়া, বদহজম, বমি, অরুচি প্রভৃতি পরিপাকতন্ত্রজনিত উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কাজেই খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে করোনা মহামারির এ সময় অন্ত্রের জন্য উপকারী খাবারগুলো খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা।

* অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলোর জন্য ভালো বা ব্যাকটেরিয়াবান্ধব কিছু খাবার আছে। উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, যেমন যব, ভুট্টার তৈরি খাবার, লাল চাল অন্ত্রের জন্য উপকারী। এ ছাড়া ফলের মধ্যে আপেল, কলা; মসলা যেমন আদা, পেঁয়াজ; ডাল, ফ্ল্যাক্সসিড তেল ব্যাকটেরিয়াবান্ধব।

* প্রোবায়োটিক বা উপকারী অণুজীব পাওয়া যায় কিছু খাবার থেকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো দই, লাচ্ছি, ঘোল, পনির প্রভৃতি দুগ্ধজাত খাবার। এগুলো অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক। এর ফলে পরিপাকতন্ত্রের গায়ে একটি স্বাস্থ্যকর আবরণ তৈরি হয়। তাই করোনাভাইরাসসহ অন্যান্য জীবাণু অন্ত্রের কোষে সংযুক্ত হতে বাধা পায়।

* ধূমপান, মানসিক চাপ এবং অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে অন্ত্রের উপকারী জীবাণু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। কাজেই করোনা মহামারির এই সময় বিষয়গুলোয় সচেতন হতে হবে, ধূমপান বর্জন করতে হবে। জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

* অন্ত্রের এসব উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ও পরিমাণ অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের জিনগত বৈশিষ্ট্য, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার ওপর। জিনগত বৈশিষ্ট্য পাল্টানো না গেলেও সুনিয়ন্ত্রিত ও সুষম খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আমরা এই ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে পারি।

জেনিফার বিনতে হক : পুষ্টিবিদ

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English