বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৪:০৫ অপরাহ্ন

‘প্রণোদনা’ সোনার হরিণ!

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০
  • ৬৩ জন নিউজটি পড়েছেন

মার্চ মাস থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। সারাদেশে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এতে করে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার আশঙ্কা করে করোনা সংকট মোকাবিলায় ১৯টি প্যাকেজের আওতায় লাখ কোটি টাকারও বেশি প্রণোদনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যবসায়ীরা সে ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলেও গত তিন মাসে প্রণোদনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি ‘নামেমাত্র’। রপ্তানিমুখী পোশাক খাত ব্যতীত মাঝারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা প্রণোদনার সুফল এখনো চোখে দেখেননি বললেই চলে। তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ এখন যেন ‘সোনার হরিণ’। কানে শুনেছি কিন্তু চোখে দেখছি না।

শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ঋণ ছাড়ের অনাপত্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছে বিভিন্ন ব্যাংক। কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের জন্য ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ হয়েছে মাত্র ২০০ কোটি টাকা। এছাড়া এমনও প্যাকেজ আছে যার কোনো ঋণ বিতরণ এখনো শুরুই করেনি ব্যাংকগুলো। শুধু একটি প্যাকেজ ছাড়া অন্যগুলোর ঋণ বিতরণ একেবারেই তলানিতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাখায় গিয়েও অনেক ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা প্রণোদনার আওতায় ঘোষিত তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছেন না। ব্যাংকের অনেক শাখা আন্তর্জাতিক রীতিনীতির দোহাই দিয়ে গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। ব্যাংকগুলো বলছে, যাচাই-বাছাই করে ঋণ দেয়া হবে। এই অবস্থায় প্রণোদনা প্যাকেজের বেশিরভাগ ঋণ চলতি জুলাই মাসের মধ্যে ও অবশিষ্ট অংশ বিতরণ আগস্ট মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণের লক্ষ্যে সরকার ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। যার অধিকাংশই ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এই প্যাকেজ দ্রুত বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক একের পর এক সার্কুলার দিচ্ছে। উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীদের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ব্যাংকগুলোকে পৃথক হেল্পডেস্ক খোলার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো যাতে প্রণোদনা সুবিধা দিতে গিয়ে তারল্য সংকটে না পড়ে সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৫১ হাজার কোটি টাকার মতো তহবিল দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সিআরআর দুই দফায় দেড় শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে আরো ১৯ হাজার কোটি টাকা নতুন করে ঋণ দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে ব্যাংকগুলো। বাজেট বরাদ্দ থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার জোগান দিয়েছে সরকার। এ ছাড়া ২০১৯ সালের ব্যাংকের মুনাফা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বণ্টন ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারল্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুতর করতে এক বছর মেয়াদি বিশেষ রেপো চালু করা হয়েছে। এত সুবিধার পরও ব্যাংকগুলো প্রণোদনা বাস্তবায়নে খুব বেশি জোর দিচ্ছে না।

জানা যায়, ব্যাংকগুলোয় প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণের জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আবেদন করলেও তারা ঋণ অনুমোদন ও ছাড়ে গড়িমসি করছে। অনেক শাখায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত প্যাকেজের নীতিমালার কপিই পৌঁছেনি। ফলে সংশ্লিষ্ট শাখা প্রণোদনার ব্যাপারে কিছুই জানে না। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে ব্যাংকের শাখাগুলো প্রণোদনার আওতায় ঋণ দেয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণোদনা প্যাকেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য সর্বমোট ৮টি প্যাকেজের আওতায় ৭৮ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে। এর মধ্যে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আকার ১২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা বাড়ানো এবং এপ্রিল ও মে মাসের স্থগিত সুদের ভর্তুকি হিসেবে ২ হাজার কোটি টাকা সরকারিভাবে বিশেষ পদ্ধতিতে দেয়া হবে। বাকি ৬টি প্যাকেজের আওতায় ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হবে ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে পুনঃঅর্থায়ন হিসেবে ৩৩ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকার দেবে ৫ হাজার কোটি টাকা। শুধু বেতন প্যাকেজের ঋণ বরাদ্দের তুলনায় বেশি বিতরণ হয়েছে। কয়েকটির শুরুই হয়নি এবং দুয়েকটির ঋণ বিতরণ একেবারে যৎসামান্য। করোনার কারণে সবার আগে ঘোষণা করা হয় রপ্তানিমুখী শিল্পের ৫০ লাখ শ্রমিকের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল। এককালীন ২ শতাংশ সার্ভিস দিয়ে বিনা সুদে এই ঋণ নিচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন দিতে গঠিত এই তহবিলের অর্থ দুই মাসেই ফুরিয়েছে ৪ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। ১ হাজার ৯৯২টি প্রতিষ্ঠান ৪৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে এপ্রিলে ২ হাজার ৭২৬ কোটি এবং মে মাসে ২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। জুন মাসের বেতন দিতে সরকারের কাছে অর্থ চেয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সরকার থেকে কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। বড় শিল্প সেবা খাতের জন্য গঠিত ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে বেতন প্যাকেজে আড়াই হাজার কোটি দেয়া হচ্ছে। আবার এই প্যাকেজ থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া হচ্ছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

করোনার প্রণোদনা ঋণের সবচেয়ে বড় ৩০ হাজার কোটি টাকা প্যাকেজে থেকে অন্য দুটি খাতে ঋণ দেয়ায় এ প্যাকেজের আকার দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। উদ্যোক্তারা সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন; আর বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ ভর্তুকি হিসেবে সরকার পরিশোধ করবে। ব্যাংকগুলোকে অর্থসহায়তা তহবিলের অর্ধেক পুনঃঅর্থায়ন করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ২৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। সর্বমোট ২৮৯টি প্রতিষ্ঠান এই ঋণ পেয়েছে। গত এপ্রিলে এই তহবিল গঠন করা হয়। এছাড়া শিল্প খাতের বড় উদ্যোক্তাদের মাঝে ব্যাংকগুলো সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ঋণ ছাড়ের অনাপত্তির জন্য পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। এর মধ্যে তিন হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বিপরীতে অনাপত্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আরো তিন হাজার কোটি টাকা অনাপত্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এসএমই খাত। এ খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য গঠন করা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল। ৪ শতাংশ সুদে চলতি মূলধন হিসেবে ঋণ পাবেন উদ্যোক্তারা। এই তহবিলের অর্ধেক অর্থের জোগান দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে মাত্র ২০০ কোটি টাকা। এই প্যাকেজের আওতায় ঋণ দিতে ব্যাংকগুলো শাখাগুলোকে জানায়নি। উদ্যোক্তারা শাখায় যোগাযোগ করলে শাখা ম্যানেজাররা এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলছেন। সিএমএসএমই খাতে প্রণোদনার ঋণ পাওয়ার সহযোগিতা চেয়ে ইতোমধ্যে তিন শতাধিক উদ্যোক্তা ঢাকা চেম্বারের কাছে আবেদন করেছে। এসব আবেদন ব্যাংকগুলোতে পাঠাবে ডিসিসিআই। কোনো অসহযোগিতার খবর পেলে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, চলতি মূলধন সহায়তা ছাড়া এই মুহূর্তে ব্যবসা পরিচালনা করা সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য খুব কষ্টকর। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ঋণ পাচ্ছেন না এমন প্রচুর অভিযোগ আসছিল। এ অবস্থায় ডিসিসিআই সদস্যদের সমস্যা সমাধানে আলাদা একটি ডেস্ক খোলা হয়েছে। যাদের ঋণ দরকার তারা সেখানে আবেদন করবেন। এরপর ডিসিসিআই থেকে ওইসব উদ্যোক্তার সব কাগজপত্র ঠিক করে ব্যাংকে পাঠানো হবে। এর পরও ব্যাংক শাখা যদি ঋণ না দেয়, তখন প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করা হবে। তারপরও ঢিলেমি করলে তখন বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হবে। এছাড়া রপ্তানিকারকদের প্রি-শিপমেন্ট ঋণ দিতে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে ৩ হাজার কোটি টাকার তহবিল রয়েছে। এই দুটি তহবিল থেকে কোনো ঋণ বিতরণ শুরু হয়নি। এ দুটির তহবিলের পুরো টাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন করবে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম স¤প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ঘোষিত প্যাকেজ বাস্তবায়নে কোনো কোনো ব্যাংক সহযোগিতা করছে না। এ ধরনের ব্যাংক থেকে সরকারি আমানত তুলে নেয়ার সুপারিশ করেন তিনি। এদিকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে বেসরকারি একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঋণের জন্য অনেকেই আবেদন করেছেন। এর মধ্যে কিছু গ্রাহক আছে যারা আগের ঋণ নিয়মিত ফেরত দেয়নি। তাদের ঋণ দিলে ফেরত না পাওয়ার ঝুঁকি আছে। আবার কিছু গ্রাহক করোনার আগে ঋণ নিয়েছেন কিন্তু করোনা সংকট শুরু হলে সেই ঋণ অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রেখেছেন। তারাও আবেদন করেছেন। অপ্রয়োজনে কাউকে ঋণ দিলে তা ফেরত পাওয়া নিয়ে ঝুঁকি আছে। কারণ ঋণ বিতরণ ব্যাংক করবে আদায়ও ব্যাংকগুলোকেই করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন করলেও তারা গ্রাহকের কাছ থেকে নয় ব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ আদায় করবে। তাই যাচাই-বাছাই করে ঋণ দেয়া হচ্ছে। তবে ভালো গ্রাহকদের ঋণ দিতে সমস্যা নেই। তারা চাইলেই ঋণ পাচ্ছেন।

অর্থমন্ত্রণালয়ে এফবিসিসিআইএর চিঠি : ব্যাংকের শাখায় গিয়েও অনেক ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা প্রণোদনার আওতায় ঘোষিত তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছেন না। ব্যাংকের অনেক শাখা আন্তর্জাতিক রীতিনীতির দোহাই দিয়ে গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে স¤প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি চিঠিতে এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলারের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন সেক্টর থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, ব্যাংকগুলোর কাছে প্যাকেজের আওতায় ঋণ সুবিধা নেয়ার আবেদন করলেও ব্যাংকের শাখাগুলো প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। এমন কি কোনো কোনো শাখা গ্রাহকের নিকট থেকে আবেদনপত্র রাখতে অনীহা প্রকাশ করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, প্রণোদনার ঋণ বিতরণে কিছু ব্যাংক এগিয়ে এলেও, বেশিরভাগই অনীহা দেখাচ্ছে। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এটি একটি অস্বাভাবিক সময়, এ পরিস্থিতিতে যেখানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চাঙা করতে ব্যাংকগুলোর এগিয়ে আসা উচিত সেখানে অনেক শাখা আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড, নিয়মনীতির প্রশ্ন তুলে প্রণোদনা আওতায় ঋণের আবেদন ফিরিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে যখন বন্যা হলো, তখন অনেক ব্যাংক ঋণ সহায়তা দিয়েছে। তারা ৫, ১০, ১৫ বছরের জন্য কিস্তি করে দিয়েছে। প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আর এখন মানুষ মারা যাচ্ছে, সবকিছু স্থবির হয়ে যাচ্ছে, এ অবস্থায়ও কিছু ব্যাংক নানা নিয়ম-কানুন দেখিয়ে ঋণ দিত অনীহা দেখাচ্ছে। তবে এর মধ্যেও কিছুসংখ্যক ব্যাংক এগিয়ে এসেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর এমডিরাও প্রণোদনা বিতরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন বলে স্বীকার করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

আগস্টের মধ্যে প্রণোদনা তহবিলের সব ঋণ বিতরণের নির্দেশ : প্রণোদনা ঋণ বিতরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তহবিল জোগান দেয়া হলেও ঋণ দিতে ব্যাংকগুলো ধীর গতিতে চলছে বলে এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন অভিযোগ করে আসছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৭ জুন সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে সভা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সভায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে এক বৈঠক শেষে ব্যাংকগুলোকে প্রণোদনা প্যাকেজের বেশিরভাগ ঋণ চলতি জুলাই মাসের মধ্যে এবং অবশিষ্ট অংশ আগস্ট মাসের মধ্যে বিতরণ শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English