প্রেমিকের সামনে বখাটেরা ধর্ষণ ও এর পর প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় অষ্টম শ্রেণির (১৫) এক ছাত্রী অপমানে আত্মহত্যা করেছে। একই ঘটনায় দৌলতপুর থানায় প্রেমিকসহ বখাটেদের নামে মামলা হয়েছে। দৌলতপুর থানা পুলিশ প্রেমিক অনয় আলীকে গ্রেফতার করেছে। পলাতক রয়েছে রতন ও তন্ময়সহ চার বখাটে।
দৌলতপুর থানা পুলিশ ও পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর পাঁচ কলিয়া গ্রামে কাজী আরিফুর ইসলামের মেয়ে আফরোজা আক্তার (১৫) বৃহস্পতিবার দুপুরে তার প্রেমিক অয়ন আলীর সাথে মোটরসাইকেল যোগে বেড়াতে যায়। ঘড়িয়াল এলাকায় স্থানীয় উদীয়মান যুবসংঘ ক্লাবের রতন, তন্ময়সহ কয়েকজন বখাটে তাদের মোটরসাইকেল থামায়। এর পর আফরোজা ও অনয়কে ক্লাব ঘরে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকিয়ে রাখে। রাতে আফরোজাকে তার চাচা মামলার বাদি কাজী নাজিমুদ্দিনের বাড়িতে রেখে আসেন।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন মাতাবরকে সাথে নিয়ে প্রেমিক অয়নসহ বখাটেরা আফরোজার চাচার বাড়িতে আসে। সেখানে আফরোজা বাবা আরিফুর ইসলাম তার মেয়েকে বিয়ে করার জন্য অনয়কে চাপ দেয়। এতে অনয় অস্বীকার করে চলে যায়। শুক্রবার দুপুরের দিকে আফরোজা তার ফুফু রুবিয়া ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করে। সন্ধ্যায় দৌলতপুর থানা পুলিশ আফরোজার লাশ উদ্ধার করে রাতে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ ওই রাতেই প্রেমিক অনয় আলীকে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনায় শনিবার আফরোজার চাচা কাজী নাজিমুদ্দিন প্রেমিক অনয় আলী, উদীয়মান ক্লাবের রতন, তন্ময়সহ আরো অজ্ঞাত দুই বখাটের নামে মামলা করেছেন।
এদিকে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রেমিক অয়ন আলী স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছেন সে আফরোজা নিয়ে বৃহস্পতিবার ঘুড়তে বেড়িয়েছিলন। উদীয়মান ক্লাবের ছেলেরা তাদের আটক করে মোবাইল ফোন টাকা পয়সা নিয়ে নেন। এর পর তারা আফরোজাকে মারধরে করে ভয় দেখিয়ে তার সামনেই ধর্ষণ করে। শুক্রবার আফরোজার বাবা বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্ত আফরোজাকে বখাটেরা নির্যাতন করেছে বিধায় সে ওই বিয়ে প্রস্তাব ফিয়ে দিয়েছিল। এতে যে আফরোজা আত্মহত্যা করতে পারে সেটা সে বুঝতে পারেনি।
এব্যাপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম, জানান মামলার অভিযোগ অনুযাযী অয়নকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি জানান অয়ন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন ও তন্ময়ের বিরুদ্ধে আফরোজা ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। তার অভিযোগ কতটা সত্যতা রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তখন সে অনুযাযী পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।