বিশ্বের এই করোনা-ক্রান্তিলগ্নে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে অণুজীব বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অণুজীব বিজ্ঞানীরা শুধু জিনোম সিকোয়েন্সে দক্ষতা দেখিয়েই থেমে নেই। ভাইরাস সনাক্তকারী বিভিন্ন রি-এজেন্ট, এন্টি-ভাইরাল ওষুধ, ভ্যাকসিন আবিষ্কারে এই অণুজীব বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অণুজীব বিজ্ঞানীদের একত্রিত করা এবং তাদের দক্ষতাকে আরও বেশি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি সম্পূর্ণ নতুন সংগঠন সূচনা করেছে উত্তর আমেরিকার একদল অভিজ্ঞ অণুজীববিজ্ঞানী।
সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে “আন্তর্জাতিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ এফিলিয়েটেড মাইক্রোবায়োলজিস্ট” (International Society of Bangladesh-Affiliated Microbiologists), সংক্ষেপে ‘আইএসবিএম’। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী, অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সংগঠন। সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত।
অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ক ট্রেনিং, মেন্টরিং, পেশাগত তথ্য বিনিময় এবং সর্বোপরি বিশ্বের এই ক্রান্তিলগ্নে অণুজীববিজ্ঞানের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করাই এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি এই সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অণুজীব বিজ্ঞানীদের মধ্যে এক নিগূঢ় বন্ধন স্থাপনের দ্বার উন্মোচন হবে বলে সংগঠনের সদস্যরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী তিন হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অণুজীব বিজ্ঞানী এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, যারা করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ অব্যাহত রেখেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হককে আহ্বায়ক এবং জোন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবপ্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রক সংস্থায় অণুজীব বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত ড. মিজানুর রহমানকে সদস্য সচিব করে এগারো সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি এবং পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
সংগঠনের সদস্যরা উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত রয়েছেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ড. ফখরুল মনোয়ার হোসেন (ইন্সট্রাক্টর, ডিপার্টমেন্ট অফ জেনেটিক্স, লুইসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা), ড. হাবিব বখত (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও ডিরেক্টর, হিলবার্ট কলেজ, আমেরিকা), ড. ফেরদৌস হাসান (মেডিকেল সাইন্স লিয়াজোঁ, সানোফি পাস্তুর, আমেরিকা), ড. নুর এ হাসান (সিইও, এজবায়ম ইনক; অ্যাডজাঙ্কট অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড, আমেরিকা), ফাহমিনা জাহান (কোয়ালিটি এস্যুরেন্স ম্যানেজার, ডাল্টন ফার্মাসিউটিক্যালস, টরন্টো, কানাডা), ড. হোসেন আজম (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অফ এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউনিভার্সিটি অফ ডিস্ট্রিক্ট কলম্বিয়া, আমেরিকা), মো. বেলাল হোসনে (প্রধান মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ইনোভেট ফাইটোসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, কানাডা), ড. নিয়াজ রহিম (মলিকুলার সাইটিস্ট, গভর্নমেন্ট অফ মানিটোবা, কানাডা), এবং সৈয়দা অন্তরা শবনম। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা হল- ড. জাফরুল হাসান (ব্রাঞ্চ চিফ, এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি), ড. আফজাল চৌধুরী (সাইন্টিফিক এডভাইজড, পার্কিন্স ইন্ডাস্ট্রি কোই, এলএলপি), ড. শেখ সেলিম (ডিরেক্টর, পিএইচএল এসোসিয়েটস ইনক), অধ্যাপক সেলিনা পারভিন (প্রফেসর, ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড) এবং অধ্যাপক মো. মোতালেব (প্রফেসর, ইস্ট ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটি)।