নতুন বাজেটে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ অন্যান্য মোবাইল সেবায় সম্পূরক শুল্ক্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবে জনজীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। করোনাকালে সাধারণ জনগণের জীবন-যাপন যখন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, তখন বাজেটে বাড়তি কর আরোপ করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট সংশোধন করে মোবাইল সেবায় বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক্ক প্রত্যাহার করা হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১১ জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে টক টাইমসহ সব মোবাইল সেবার ওপর অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, যা এখন রয়েছে ১০ শতাংশ। পরের দিন বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী।
তবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানান, আমাদের দেশের মানুষ অকারণে বেশি কথা বলে। যে পরিমাণ কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়, তাতে দশমিক ৫ শতাংশ খরচ বাড়বে। এতে জনজীবনে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তিনি। তার এমন বক্তব্যে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
একটি সূত্র বলেছে, মোবাইল সেবায় কর বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেননি। মূলত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাড়তি কর প্রত্যাহারের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, যা আগামীকাল সোমবার অর্থ বিলেরর মাধ্যমে সংসদে পাস হবে। অর্থ বিল পাশের মধ্য দিয়ে নতুন বাজেটের কর প্রস্তাবসমূহ কার্যকর হবে। জানা গেছে, অর্থ বিল পাশের দিন সংসদে বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সংশোধনী কর প্রস্তাবসমূহ উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। তার পর কণ্ঠভোটে পাস হবে অর্থ বিল-২০২০। পরদিন ৩০ জুন মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পাস হবে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ীদের দাবিতে আয়কর ও আমদানি পর্যায়েও আরও কিছু কর প্রস্তাবের সংশোধনী আনা হতে পারে নতুন বাজেটে। কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ির আগাম কর বৃদ্ধির প্রস্তাবও বহাল থাকছে।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, করোনাকালে জনগণকে স্বস্তি দিতে নতুন বাজেটে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। সংশোধনী প্রস্তাবে সব সুবিধা বহাল থাকছে।