শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

বিআইসিএমের মাস্টার্সের ফি ৫০ শতাংশ কমল

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ৮৪ জন নিউজটি পড়েছেন

শেয়ারবাজারের উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও গবেষনায় জোর দিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)’র আন্তর্জাতিক মানের কোর্স ‘মাস্টার অব অ্যাপ্লাইড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ক্যাপিটাল মার্কেট’ (এমএএফসিএম)-এর ফি ৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

বিআইসিএম পরিচালিত পুঁজিবাজার ও ব্যবহারিক অর্থায়নের ওপর দেশের প্রথম এবং একমাত্র স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম এটি।
প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার, পরিচালক নাজমুল সালেহীন এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) সভাপতি জিয়াউর রহমান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত জাতীয় প্রতিষ্ঠান বিআইসিএম’র এমএএফসিএম প্রোগ্রামে চার সেমিস্টার। এতদিন একজন শিক্ষার্থীকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হতো। নতুন নিয়মে তা কমিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা করা হয়।

ড. মাহমুদা আক্তার জানান, মোট ৫১ ক্রেডিটের এই মাস্টার্স প্রোগ্রামে প্রতি ক্রেডিট ফি ৪ হাজার টাকা। এর ওপর ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত

তিনি বলেন, চলমান অর্থনৈতিক অবস্থায় সাধারণ মানুষের জন্য যাতে এই মাস্টার্স করাটা সহজতর হয়, সেই চিন্তা ছাড়। তবে শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ফি আলাদাভাবে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশের কাতারে নিতে দ্রুত টেকসই উন্নয়ন জরুরি। এক্ষেত্রে শিল্পায়নের জন্য বড় অবকাঠামো দরকার এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন দরকার। একটি গতিশীল ও বিকাশমান পুঁজিবাজার ছাড়া এই অর্থায়নের যোগান দেওয়ার সহজ কোনো উপায় নেই। তারমতে, পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজন দক্ষ মানব সম্পদ। বিআইসিএম তার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে এই মানব সম্পদ গড়ে তুলতে চায়। মাহমুদা আক্তার বলেন, করোনার পর বিশ্ব যখন ঘুঁরে দাঁড়াচ্ছিল, ওই সময়ে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক মাহমুদা আক্তার আরও বলেন, পুঁজিবাজার সম্পর্কিত গবেষণার কাজ জোরদারে ইন্সটিটিউটের রিসার্চ এন্ডাওমেন্ট তহবিল থেকে বার্ষিক গবেষণা মঞ্জুরী প্রদানের কাজ খুব শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে। দুই ক্যাটাগরিতে এই গবেষণা মঞ্জুরী পাবে বাছাই করা ব্যক্তি পর্যায়ের গবেষক, গবেষণা টিম, এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ সপ্তাহের মধ্যেই গবেষণা পত্র আহ্বান করে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি আকারে তা প্রকাশ করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English