মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

বিটিআরসির বিরুদ্ধে রিট তুলে নিল গ্রামীণফোন

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০
  • ৩৫ জন নিউজটি পড়েছেন

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ২১ জুন গ্রামীণফোনের ওপর দুটি বিধিনিষেধ জারি করে। গ্রামীণফোন ২৮ জুন এ নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করে। তবে এরই মধ্যে বিরোধটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা আলোচনায় আসে। ৩০ জুন রাতে এক বিবৃতিতে গ্রামীণফোন জানায়, তারা রিট তুলে নেবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব আজ বলেন, ‘আজকে রিটটি তালিকার ৪১ নম্বরে ছিল। তবে ওরা চেয়েছে (গ্রামীণফোন) রিটটি নন-প্রসিকিউশন অথবা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হোক। আদালত এটি তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, মূল বিষয় হলো, বিষয়টি এখানেই শেষ।

বিটিআরসির জারি করা দুই বিধিনিষেধ ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। ফলে এখন গ্রামীণফোন আগাম অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের নতুন সেবা, অফার বা প্যাকেজ দিতে পারছে না। এখনকার অফার অথবা প্যাকেজও আবার অনুমোদন করিয়ে নিতে হচ্ছে।
এ ছাড়া নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলে গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে ‘লকিং পিরিয়ড’ ৬০ দিন। অন্যদের ক্ষেত্রে যা ৯০ দিন। এর মানে হলো গ্রামীণফোন সহজে ছাড়া যাবে।

বিটিআরসি গ্রামীণফোনের ওপর বিধিনিষেধ জারি করছে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতা প্রবিধানমালার (২০১৮) অধীনে। গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধারী (এসএমপি) অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করে। কোনো মোবাইল অপারেটর গ্রাহকসংখ্যা, রাজস্ব অথবা তরঙ্গ—এই তিন ক্ষেত্রের একটিতে ৪০ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যাধারী হলে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা যায়।

বাজারে কারও একচ্ছত্র আধিপত্য ঠেকাতে সাধারণত এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে গ্রামীণফোন সবসময় দাবি করছে, তারা বাজারে এমন কোনো আচরণ করছে না, যা প্রতিযোগিতাকে ক্ষুণ্ন করে। এসএমপির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রীতি হলো, যথাযথ পর্যালোচনার পরে বাজারের দুর্বলতা খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।

এসএমপির অধীনে গত বছর ১৮ মার্চ চারটি নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি। তা নিয়ে আদালতে যায় গ্রামীণফোন। পরে বিটিআরসি নিজে থেকেই সেগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। একই বছর ৩০ মে আবার চারটি নির্দেশনা আরোপ করে বিটিআরসি। এ নিয়েও গ্রামীণফোন আদালতে যায়। ফলে তা আর আরোপিত হয়নি।

এবারও দুই বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে গ্রামীণফোন আদালতে যাওয়ার মধ্যেই ২৮ জুন নতুন আরেকটি বিধিনিষেধ আরোপ করে বিটিআরসি। এতে বলা হয়, গ্রামীণফোন আগামী ১৬ জুলাই থেকে কল আদান-প্রদান বা টার্মিনেশন থেকে ক্ষেত্রে ‘অরিজিনেটিং’ অপারেটর থেকে প্রতি মিনিটে ১০ পয়সার বদলে ৭ পয়সা করে পাবে। অন্যরা আগের মতো ১০ পয়সাই পাবে। এটি গ্রামীণফোনের আয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

সূত্র জানায়, গ্রামীণফোন বিরোধটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাইলে রিট তুলে নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। ৩০ জুন রিট আবেদন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে জানায় গ্রামীণফোন।

ওই দিন বিবৃতিতে গ্রামীণফোন বলেছে, তারা আরোপ করা বিধিনিষেধ নিয়ে একমত নয়। তারা আশা করে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে তাদের বোঝাপড়ায় যে ঘাটতি রয়েছে, তা গঠনমূলক ও অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এর অংশ হিসেবেই গ্রামীণফোন রিট তুলে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছে।

আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা না হলে গ্রামীণফোন কি আর আদালতে যেতে পারবে, জানতে চাইলে বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব বলেন, এক বিষয়ে আর নয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English