নাজিয়া হক অর্ষা। মডেল ও অভিনেত্রী। করোনার কারণে দীর্ঘদিন শুটিং করছেন না তিনি। তবে সম্প্রতি তার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘বুমেরাং’ নিয়ে বেশকিছু বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ওয়েব সিরিজ, শুটিংয়ে ফেরা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-
অনেক দিন কোনো শুটিং করছেন না, সময় কাটছে কীভাবে?
করোনকালীন অনেকের জীবন যেভাবে কাটছে, আমি সেভাবেই সময় কাটাচ্ছি। সারাদিন বাসায় থাকি। বই পড়ি, সিনেমা দেখি- এতেই অনেক সময় কেটে যায়। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আড্ডা, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে, এই তো এসব নিয়ে ব্যস্ত। অনেক দিন এভাবে পরিবারের সদস্যদেরর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়নি। এবার সেটা হলো।
আপনি কাজে ফিরছেন কবে?
আগামী মাসে শুটিংয়ে অংশ নেব। এখন পর্যন্ত দুটি নাটকের তারিখ চূড়ান্ত করেছি। প্রতিটি নাটকের শুটিং শেষে সাত-আট দিনের একটা বিরতি নেব। পরশু সকাল আহমেদের একটি নাটকে কাজ করব। এখানে আমার বিপরীতে থাকছেন আনিসুর রহমান মিলন। এছাড়া এমডি আদনানের পরিচালনায় ভ্রমণবিষয়ক গল্পের ওপর নির্মিত একটি নাটকে অভিনয়ের কথা আছে। দুটি নাটকই ঈদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রতিটি নাটক শেষে লম্বা সময় বিরতি নেওয়ার পরিকল্পনা কেন করলেন?
আমার বাবা-মা দু’জনেরই বয়স হয়েছে। চাই না, আমার কারণে তাদের কোনো ক্ষতি হোক। শুটিংয়ে সব ধরনের সুরক্ষামূলক পদক্ষপে নেওয়া হচ্ছে। তার পরও এই অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে নিজেকেই। সেজন্য একটু রয়ে-সয়ে কাজ করব।
আপনার অভিনীত ‘বুমেরাং’ ওয়েব সিরিজ নিয়ে যে সমালোচনার ঝড় বইছে, সে প্রসঙ্গে আপনার কিছু বলার আছে?
আমরা বিদেশি কনটেন্ট অবলীলায় দেখতে পারি। কিন্তু নিজের দেশের কিছু হলেই সমালোচনার ঝড় তুলি। এ নিয়ে তাই বেশি কিছু বলতে চাই না। শুধু আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, যারা সামাজিক মাধ্যমে আমাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন, তারা আসলে কতটা ঠিক? শুধু ওয়েব সিরিজ নয়, প্রতিটি বিষয় নিয়েই এরা বাজে মন্তব্য করে আসছেন। বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে নিয়েও এরা বাজে মন্তব্য করতে ছাড়েনি। আমি মনে করি, এই সঠিক সমালোচনার বদলে যারা আজেবাজে কথায় ছড়াচ্ছেন, সেই শ্রেণিকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
নির্দিষ্ট একটি শ্রেণি যদি বাজে কথা ছড়ায়, তাহলে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম থেকে ‘বুমেরাং’ ওয়েব সিরিজটি সরিয়ে নেওয়া হলো কেন?
প্রযোজক, প্রকাশকরা ভালো বলতে পারবেন, কাদের মন্তব্যের ভিত্তিতে তারা ‘বুমেরাং’ ওয়েব সিরিজটি স্ট্রিমিং পল্গ্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। যেহেতু ওয়েব সিরিজটি স্ট্রিমিং পল্গ্যাটফর্ম থেকে সরানো হয়েছে, তাই এ নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাই না। আমার কথা হলো, যা কিছু করা হয়েছে, তা দর্শকের কথা ভেবেই। কারণ প্রায় সময় তারা বলে থাকেন গৎবাঁধা গল্পের কারণে নাটক দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। কিন্তু যখন চেনা ছকের বাইরে গিয়ে জীবনের সত্য ঘটনা নিয়ে গল্প বানানো হলো, তখন তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হলো। আসলে এদেশের দর্শক কী চায়- এটাই এখনও স্পষ্ট নয়।
আপনার কী মনে হয়, কনটেন্টের চাইতে কাটপিসকে অনেকেই বড় করে দেখেছেন?
চারদিকে যে ধরনের কথা শোনা যায়, তাতে মনে হয়েছে, অনেকে ‘বুমেরাং’ না দেখেই শুধু কাটপিস দেখে সমালোচনা করছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। আমি সেই সব দর্শকের বলতে চাই, কাটপিস দেখে সমালোচনা করা ঠিক না। পুরো সিরিজে কী আছে, কী কারণে একেকটি দৃশ্য সেখানে তুলে ধরা হয়েছে- আগে সেটা যাচাই করে দেখুন, তারপর আপনার মতামত তুলে ধরুন।