বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত বিশেষ তহবিল থেকে শেয়ারবাজারে কী পরিমাণ বিনিয়োগ হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংস্থাটি থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোয় পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য চেয়েছে বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকগুলোর উদ্দেশে একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ নীতিমালা আংশিক শিথিল করা হয়। ফলে প্রতিটি ব্যাংক প্রচলিত নীতিমালার বাইরে গিয়ে শেয়ারবাজারে আরও অতিরিক্ত ২শ’ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়। এই অতিরিক্ত বিনিয়োগ ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রচলিত নীতিমালার বাইরে থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই সার্কুলারের পর অধিকাংশ ব্যাংক বাজারে বিনিয়োগ করেনি। বিএসইসি থেকে মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, করোনার কারণে শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে নতুন করে ২শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বিএসইসির পক্ষ থেকে বিনিয়োগের সর্বশেষ তথ্য জানা জরুরি। ফলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর সেকশন ১১(২) অনুসারে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত বিনিয়োগের তথ্য জানাতে হবে।
সূত্র জানায়, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬ ধারা অনুসারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের রেগুলেটরি মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। রেগুলেটরি মূলধনের মধ্যে রয়েছে- ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন, রিজার্ভ তহবিলে থাকা অবণ্টিত মুনাফা, প্রিমিয়াম ও রিটার্ন আয়। আর এই সীমার বাইরে এসে বিনিয়োগ বাড়াতেই ওই সময়ে সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন সার্কুলার জারি করেছিল।