টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে যমুনা নদীতে আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। গেলো দুইদিন কমলেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর তীর উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। বেড়েছে ধলেশ্বরীসহ অভ্যন্তরীণ অন্য নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, ভূঞাপুর, কালিহাতী এবং গোপালপুর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ৯৩ টি গ্রামের এক লাখ ২৪ হাজার ৫৭১ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। দুর্গত এলাকায় সুপেয় পানি ও খাবারসহ গো খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যায় তলিয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর ফসলী জমি। এছাড়া ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এক হাজার ১৮৯টি ঘরবাড়ি। পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনা নদী রক্ষা বাঁধের পূর্বতীরের ভূঞাপুরের গারাবাড়ি এলাকায় লিকেজ দেখা দেওয়ায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে বাঁধটি।
অন্যদিকে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে একশ ৬৩ মেট্রিকটন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা বিতরণ শুরু করেনি কর্তৃপক্ষ।
বন্যা কবলিতরা জানান, সপ্তাহখানেক হলো পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। বন্যায় রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থাও নাজুক হয়ে পড়েছে। বন্যায় টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ত্রাণ বরাদ্দ হয়েছে বলে জানা গেলেও এখন পাওয়া যায়নি।
ভুঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বন্যাদূর্গত এলাকার লোকজনের জন্য দ্রুত সাহায্যের প্রয়োজন।