বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি গ্লোবের জানে না ওষুধ প্রশাসন

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০
  • ৪১ জন নিউজটি পড়েছেন

সারা বিশ্ব যখন করোনার আঘাতে কুপোকাত, জীবন বাচাতে একটি ভ্যাক্সিনের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছে তখনই সুসংবাদ দিলো বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক। মাত্র দেড় মাসে ভ্যাক্সিন আবিস্কার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি কোন ধরনের মেশিনপত্র ছাড়া করোনা পরীক্ষার কিটও আবিস্কারের দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার (১ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি করোনা ভ্যাক্সিনের এনিমেল ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। তবে প্রটোকল অনুযায়ী এখনও তারা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর এবং বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের কোন অনুমতি নেয় নি।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন বলেন, দেশের একটি প্রতিষ্ঠান করোনা ভ্যাক্সিন আবিস্কার করেছে এটি টিভিতে দেখেছি। এর বেশি কিছু জানি না। এখনো কেউ আমাদের কাছে অনুমোদনের জন্য আসেনি। এমনকি এ ধরনের কিছু বাংলাদেশে হচ্ছে বলেও জানা নেই।

গ্লোবা বাযোটেকের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ভ্যাকসিনের এনিমেল ট্রায়াল হয়েছে গত সপ্তাহে। সেখানে দেখা গেছে এটা সফলভাবে কাজ করছে, তখন মনে করলাম এ ভ্যাকসিন সফলভাবে কাজ করবে। আর এ ভ্যাকসিন আবিস্কারের কাজ শুরু হয় গত দেড় থেকে দুই মাস আগে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে জানিয়েছেন কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা পরের স্টেপ, ওদের কাজ এখনও আসে নাই। ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেবে বিএমআরসি, এরপর ওষুধ প্রশাসনের কাছে যেতে হবে। আগামীকাল তাহলে সংবাদ সম্মেলন কী নিয়ে করতে যাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা ভ্যাকসিন আবিস্কার হলো, এটা মানুষকে জানাতে হবে, মানুষকে আশা দিতে হবে। আশা নিয়েই মানুষ বাঁচে। নিজেরাই এটা নিয়ে খুব আশান্বিত, যেহেতু এনিমেল টেস্টে এন্টিবডি পেয়েছি তাই ডিক্লেয়ার দিয়ে দিয়েছি যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আবিস্কার করে ফেলছি। তবে আবিস্কার করলেও এর আরও বহু ধাপ রয়েছে, সেগুলো আমরা স্টেপ বাই স্টেপ করবো। বিএমআরসি যখন আমাদেরকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেবে তখন ওষুধ প্রশাসন জানবে। আর যদি এটা সফল হয় তাহলেতো বাংলাদেশের নাম বিশ্বের মানচিত্রে উঠে গেল। একই সঙ্গে তারা করোনা টেস্টের জন্য কিট বানাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, মেশিন ছাড়া করোনা পরীক্ষা করা যাবে। সেটাও হয়তো আগামী কয়েকদিনের ভেতরে ঘোষণা দেব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাক্সিন আবিস্কার কোন মুখের কথা নয়। এরজন্য আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনে চলতে হয়। ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্সিং করে জিনের একটি অংশ কেটে নিয়ে (যেটা ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য বহন করবে কিন্তু প্রাণী দেহে ক্ষতি করবে না) নিয়ে সেটা দিয়ে পরীক্ষা করতে হয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই বায়োসেফটি ৩ লেভেল ল্যাবের প্রয়োজন। তাছাড়া মাত্র দুটি বা তিনটি পশুর ওপরে এই ভাইরাসের প্রয়োগ করা যায়। কারণ অন্যন্য প্রাণীতে এটি সঠিক ভাবে কাজ করেনা। এমনকি যে পশুর ওপর ভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হবে সেই পশুটিকেও নিরোগ করে ছাড়তে হয়, নয়তো সেটি থেকেও মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই প্রক্রিয়া পুরোটাই স্বচ্ছ হতে হবে। তাছাড়া সেই সময়ে তারা ভ্যাক্সিন আবিস্কারের দাবি করেছে অত অল্প সময়ে সেটি সম্ভব নয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English