বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

রেমিট্যান্স ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০
  • ৩৮ জন নিউজটি পড়েছেন

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উদ্ভূত সংকটের মধ্যে জুনে প্রবাসী আয় বেড়েই চলছে। মাসের দু’দিন বাকি থাকতে ২৮ জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৪ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগের বছরের পুরো জুন মাসে যেখানে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৭ কোটি ডলার।

এ অবস্থায় প্রথমবারের মতো এক অর্থবছরে রেমিট্যান্স ১৮ বিলিয়ন তথা ১৮০০ কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে সোমবার ৩৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগে রেমিট্যান্স এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রমের রেকর্ড ছিল। সেটা গত অর্থবছরে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছিলেন। রেমিট্যান্স কমতে থাকায় চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। আগামী অর্থবছরও প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। আবার বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে অবৈধ চ্যানেলে ডলারের চাহিদা কমেছে। এরকম পরিস্থিতিতে সামগ্রিকভাবে প্রবাসীরা খারাপ অবস্থায় থাকলেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর গত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে রেমিট্যান্সে কমেছে। এরপরও মে পর্যন্ত রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। গত মে মাস পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৬৩৬ কোটি ডলারের অর্থ দেশে পাঠান। আগের বছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৫০৫ কোটি ডলার। এ হিসেবে মে পর্যন্ত রেমিট্যান্স বেশি ছিল, যা ১৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। যদিও গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ২০ শতাংশ। জুনে ব্যাপক বৃদ্ধির পর রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮০২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

জুনে রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি প্রচুর বিদেশি ঋণ পাচ্ছে সরকার। এরকম অবস্থায় প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চলতি মাসে ৩৪ ও ৩৫ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। সোমবার দিন শেষে মোট রিজার্ভের পরিমাণ গিয়ে ঠেকেছে ৩৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। এ যাবৎকালের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।

সাধারণভাবে প্রতি অর্থবছর রেমিট্যান্স বাড়লেও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে কমে যায়। এরপরে ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আবার রেমিট্যান্সে ব্যাপক পতন হয়। মূলত মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন উপায়ে হুন্ডির ফলে এমন অবস্থা হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে আসে। এরপর থেকে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English