মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৫ অপরাহ্ন

শুধু জরুরি প্রয়োজনে ভার্চুয়াল আদালত চায় সংসদীয় কমিটি

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০
  • ৩৭ জন নিউজটি পড়েছেন

শুধু জরুরি প্রয়োজন হলেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর পক্ষে মত দিয়েছে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। সংসদে বিলটি আসার পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং আইন বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে এই সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি।

রোববার সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু গণমাধ্যমকে বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে এই আইনটি প্রয়োগ করার বিষয়ে সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা দিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, কোনো মহামারী, জরুরি প্রয়োজন কিংবা নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠলে উচ্চ আদালত এ আইন প্রয়োগ করবে।

মতিন খসরু জানান, সংসদীয় কমিটির আহ্বানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম, আবদুল বাসেত মজুমদার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনসহ কয়েকজন লিখিত মতামত দিয়েছেন।

সোমবার বিলটি পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করা হতে পারে বলে সংসদীয় কমিটি সূত্র জানিয়েছে।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল মজিদ খান, শহীদুজ্জামান সরকার, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব নরেন দাস, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশে করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতিতে বিলটি উত্থাপনের প্রেক্ষাপট, বিলটি প্রয়োগের ক্ষেত্র, সীমাবদ্ধতা, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে এ বিলের সামঞ্জস্য ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বক্তব্য দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, করোনা মহামারীর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে গত ৭ মে মন্ত্রিসভা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয়ার পর তার ভিত্তিতে ভার্চুয়াল আদালতের কাজ শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারির পর তা সংসদে তোলা হয় গত ১০ জুন। অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে হলে চলমান অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়কে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করে অনুমোদন করাতে হবে। না হলে ৩০ দিন অতিবাহিত হলে অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা লোপ পাবে।

তার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যদেশটি আইন হিসেবে জারি করতে গত ২৩ জুন সংসদে বিল তোলা হয়। ওই দিন জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়। পরে ২৪ জুন সংসদীয় কমিটি বিলটি নিয়ে বৈঠক করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English