যৌতুকের টাকা না পেয়ে নিজের সাড়ে তিন বছর বয়সী সন্তান মাহিমকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিযেছেন বাবা জুলহাস ওরফে ফারুক ওরফে গুড্ডা।
এছাড়া মাহিমের অপহরণকারী জুয়েল ব্যাপারীও এ ঘটনার দায় স্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমানের আদালতে তারা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এদিন তাদের দুজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তারা স্বেচ্ছায় ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম। এরপর বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল মৃধাবাড়ি এলাকায় র্যাব-১০ এর একটি অভিযানে জুয়েল ব্যাপারীকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ভুক্তভোগীর বাবা জুলহাসকে মাতুয়াইল দরবার শরীফ মোড় থেকে আটক করে র্যাব-১০।
জানা গেছে, নিজের পরিকল্পনায় তিন বছর সাত মাসের সন্তান মাহিমকে জুসের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার পর বালু চাপা দেন জুলহাস। এখানেই থামেননি তিনি। গত সোমবার নিজেই র্যাবের কাছে সন্তান অপহরণের শিকার হয়েছে মর্মে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাবের তদন্ত ও অনুসন্ধানে নিজেই ফেঁসে যান জুলহাস।
জুলহাস আগে থেকেই যৌতুকের টাকাসহ বিদেশে যাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়িত চার লাখ টাকা দাবি করেন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন তিনি। পারিবারিক কলহ এবং শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা না পেয়ে ক্ষোভে নিজের সন্তানকে হত্যার জন্য প্রতিবেশী জুয়েলকে নিয়ে পরিকল্পনা করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা স্মৃতি আক্তার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।