সরকারঘোষিত ঈদ-পরবর্তী লকডাউনের প্রথমদিনে শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাজধানী ঢাকায় দিনভর যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। ঈদের ছুটিতে লাখ লাখ মানুষ গ্রামে চলে যাওয়ার পাশাপাশি দিনটি শুক্রবার হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেশিরভাগ নগরবাসী ঘরের বাইরে বের হননি। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই কর্মব্যস্ত রাজধানী ঢাকা ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়। রাস্তাঘাটে সুনসান নীরবতা নেমে আসে।
সন্ধ্যার পর এক পশলা বৃষ্টি ও বাতাস বয়ে যায়। এশার আজান পড়তে না পড়তেই রাস্তাঘাটে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে। এসময় ফাঁকা রাস্তায় মাঝে মাঝে সাইরেন বাজিয়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত কিছু গাড়ি, মোটরসাইকেল ও প্যাডেলচালিত রিকশা দ্রুতবেগে ছুটে চলতে দেখা যায়। শুক্রবার রাতে সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
দিনভর বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসে। এসময় যানবাহন নিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে রাতের বেলা যানবাহনের সংখ্যা একেবারেই কমে আসায় চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের দেখা যায়নি। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে রিকশাচালকদের যাত্রীর অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা গেলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম।
আজিজুল নামের একজন রিকশাচালক জানান, তিনি মাগরিবের নামাজের পর থেকে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এশার আজানের সময় আজিমপুর থেকে গাবতলীতে ২৫০ টাকা ভাড়ায় একজন যাত্রী পান। তিনি বলেন, ঈদে বহু মানুষ গ্রামে চলে গেছে। তাই রাস্তাঘাটে মানুষ নেই বললেই চলে। লকডাউনে তাদের চলাচলের অনুমতি থাকলেও যাত্রী না পেলে আয় কমে যাবে বলে জানান এই রিকশাচালক।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে হাসানুজ্জামান নামের একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে দ্রুত পায়ে হেঁটে চলতে দেখা যায়। তিনি জানান, ডায়াবেটিসের রোগী হওয়ায় নিয়মিত তাকে ঘণ্টাখানেক হাঁটতে হয়। এ কারণে লকডাউন জেনেও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে বের হয়েছেন। যান্ত্রিক নগরী ঢাকায় এ লকডাউন পরিস্থিতিতে রাস্তায় যে সুনসান নীরবতা বিরাজ করে, এ পরিবেশে হাঁটতে খুব ভালো লাগে বলে তিনি মন্তব্য করেন।