মেহজাবিন চৌধুরী। মডেল ও অভিনেত্রী। করোনার কারণে প্রায় চার মাস বিরতির পর গত মঙ্গলবার থেকে মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ‘প্রাণপ্রিয়’ নামের একটি এক ঘণ্টার নাটকের কাজে অংশ নিয়েছেন। এই নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-
প্রায় চার মাসের বিরতির পর শুটিংয়ে ফিরলেন…
হ্যাঁ। সর্বশেষ গত মার্চে মিজানুর রহমান আরিয়ানেরই একটি নাটকে কাজ করেছিলাম। এবারও তার নাটক দিয়েই বিরতি ভাঙছি। নাটকের নাম ‘প্রাণপ্রিয়’। এতে আমার বিপরীতে থাকছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তিনিও দীর্ঘদিন পর শুটিংয়ে ফিরলেন। এই নাটকের চিত্রায়ণের আগে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা, এমনকি পুরো ইউনিটের লোকদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবার করোনা পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার পরই নাটকটির দৃশ্য ধারণে অংশ নিয়েছি।
করোনাকালীন কাজে ফেরায় শঙ্কা না উচ্ছ্বাস- কোনটা বেশি কাজ করছে?
দুটোই সমানভাবে আছে। কিন্তু কাজে তো ফিরতেই হবে। এর আগে এতটা সময় কখনও ঘরে বসে কাটাইনি। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি পরিবারের কথা চিন্তা করে ঘরেই ছিলাম। সব পেশার মানুষ কাজ করে যাচ্ছেন। আমি তো অনেক দিন অপেক্ষা করলাম। মহামারি কত দিনে যাবে কেউ জানি না। পরিস্থিতি বোঝার জন্য একটা কাজ করে দেখছি। তাছাড়া ঈদের চাপ আছে। গত ঈদেও কাজ করা হয়নি। জমানো সব নাটক দেখানো শেষ। দেখি এখন কতটা নিরাপত্তার সঙ্গে কাজটা করতে পারি।
অন্য কোনো নাটকের শুটিংয়ে অংশ নেবেন?
আপাতত সে পরিকল্পনা নেই। শুধুই মিজানুর রহমান আরিয়ানকে কাজের জন্য সময় দিয়েছি। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন। এই নাটকে অভিনয়ের পর যদি বুঝতে পারি যে, স্বাস্থ্যবিধি ভালোভাবে মেনেই কাজ হচ্ছে, তাহলে হয়তো পরে অন্য পরিচালকদের কাজে সময় দেওয়া হবে। মূল কথা, একটি কাজ করে একটু বুঝে নিতে চাই যে, করোনার এই ভয়াবহ সময়টাতে আদৌ কাজে নিয়মিত হওয়া যাবে কিনা। সব ঠিকঠাক মতো হয় এবং নিজের মনে কাজ নিয়ে কোনোরকম শঙ্কা তৈরি না হলেই কাজে নিয়মিত হবো।
দীর্ঘদিন বাসায় সময় কাটল কীভাবে?
পরিবার, নিজের ইউটিউব চ্যানেল নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেছি। বেশ কিছু নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছি। দর্শক সেগুলোতে ভালো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। নতুন নতুন রান্নার এক্সপেরিমেন্ট করেছি এবং সেগুলো ভিডিও করে ইউটিউবে প্রকাশ করেছি।
১০ বছর অভিনয় জীবন পেরিয়ে নিজেকে এখন কতটা পরিণত মনে করেন?
এটা দর্শকই ভালো বলতে পারবেন। তবে মাঝেমধ্যেই মনে হয়, এই তো সেদিন শুরু করলাম। আর এত তাড়াতাড়িই এক দশকে পা রাখছি। চিন্তা করি, কত দ্রুত সময় চলে যায়। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা সত্যি যে, দশ বছরে আমার অভিনয়ে পরিবর্তন এসেছে। ভক্তদের প্রতিক্রিয়া তাই প্রমাণ করে। আসলে অভিজ্ঞতা প্রত্যেকের জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনে।
এখন দায়বদ্ধতার পরিধিও বেড়েছে…
অব্যশই। আমার অভিনয়ের শুরুর দিকে ভালো চরিত্র, গল্প এগুলো নিয়ে খুব গভীরভাবে ভাবতাম না। কিন্তু এখন আমার অভিনীত প্রতিটি চরিত্র নিয়ে অনেক ভাবনাচিন্তা করি। ভালো গল্পই এখন আমার কাছে মুখ্য। ধরুন এমন গল্পে আমার অভিনয়ের প্রস্তাব এসেছে, যেখানে আমার চরিত্রের ব্যাপ্তি ১ মিনিট। সেই চরিত্রটিও যদি গুরুত্ব বহন করে, তাহলে সেখানে অভিনয়ে আমার আপত্তি নেই।