মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৮ অপরাহ্ন

‘সরকারের চলতি মেয়াদেই চালু হবে বিরল স্থলবন্দর’

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০
  • ৮৫ জন নিউজটি পড়েছেন

দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর সরকারের চলতি মেয়াদেই চালু করা হবে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিরল স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শনকালে এক সমাবেশে এ কথা বলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তাঁরা বলেন, রেলপথ ও স্থলপথ সংযুক্ত এই বন্দরটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং এ অঞ্চলের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তির ভূমিকা পালন করবে।

বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক।

বেলা ১১টা থেকে উপজেলার ঠনঠনিয়া এলাকায় প্রস্তাবিত বিরল স্থলবন্দরে আওয়ামী লীগের নেতারাসহ স্থানীয় লোকজন জড়ো হতে থাকেন। পরে রেলমন্ত্রী ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সেখানে পৌঁছে প্রস্তাবিত এলাকাটি পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০০৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সেই চুক্তিতে বিরল এবং ভারতের রাধিকাপুর এলাকার মধ্যে রেল যোগাযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে এই দুই এলাকার রেল যোগাযোগে ব্রডগেজ রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থলবন্দর এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থেকে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় রেললাইনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বন্দর এলাকায় সাড়ে ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শুল্ক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বন্দর এলাকায় সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরির বিষয়ে দুটি বিভাগই গুরুত্ব দিচ্ছে। ভারতের রাধিকাপুর থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ শেষ হয়েছে। এই বন্দর এলাকা প্রস্তুত হলে ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল ত্রিদেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সব ল্যান্ডপোর্টগুলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আটটি জায়গায় কানেকটিভিটি রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিরল-রাধিকাপুর। যে লাইন দিয়ে ইতিমধ্যে রেলযোগে পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বিরল পোর্ট স্থাপন, লোড-আনলোডের ব্যবস্থা এবং আরেকটি লাইন স্থাপন করা গেলে স্থানীয় অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘এ অঞ্চলটি লালমনিরহাট ডিভিশনের আওতাধীন। ইতিমধ্যেই একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই একটি প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বন্দরের কাজ শুরু করা হবে। বন্দর এলাকা উন্নয়নের মধ্য দিয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা হবে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © vira-l.com 2017-2022
themesba-lates1749691102
Bengali English