করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার খুলেছে দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। তবে দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভ্রমণ অনুমতি এখনো মেলেনি। তাই বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের। তবে দ্রুতই পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি মেলার বিষয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগ মিলে পুরোনো ৭টি ও নতুন ৪টিসহ মোট ১১টি পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিবছর সুন্দরবনে প্রায় দুই লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৩ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর গত সাড়ে চার মাসে ১১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সুন্দরবন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, সুন্দরবনে ভ্রমণে এখনো অনুমতি আসেনি।
পর্যটনকেন্দ্র খুলে যাওয়ার খবরে অনেকেই সুন্দরবনে ভ্রমণে আসার জন্য যোগাযোগ করছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বা চিঠি তাঁরা পানি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে দর্শনার্থীদের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ উন্মুক্ত হবে।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর সুন্দরবনে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। গত বছরের নভেম্বরে ওই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়। করোনা পরিস্থিতি আবারও খারাপ হলে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, যা এখনো কার্যকর আছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য কোনো আদেশ এখন আসেনি। তাই পর্যটকদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে নির্দেশনা পাওয়ার পরই পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
এদিকে পর্যটকদের পাশাপাশি সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের বনে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা চলছে। চলতি মাসের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে। যার আওতায় সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্রও পড়ছে। ফলে ১ সেপ্টেম্বরের আগে সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র খোলার সম্ভাবনা নেই বলে ধারণ করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।