জাতীয় স্বপ্ন অর্জনের পথে তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তারাই হচ্ছে মূল যোদ্ধা। তাই তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তারাই নেতৃত্ব দেবে আগামী দিনের বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার রাতে ‘করোনাকাল ও পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের বিশেষ ওয়েবিনার ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’-এর অষ্টম পর্বে বক্তারা এসব কথা বলেন। এবারের বিষয় ছিল ‘তরুণদের শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি : আগামীর কৌশল নির্ধারণ।’
আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এটি প্রচার হয়। এছাড়া দৈনিক আরও কয়েকটি গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজ থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচারিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় আলোচক ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, গুরুকুল অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফরমের প্রতিষ্ঠাতা সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর, দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার বিভাষ বাড়ৈ।
শুরুতে ডা. দীপু মনি বলেন, ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর ২৯ মার্চ থেকে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের ক্লাস চালু করেছি। যেখানে সাধারণ শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা সমান তালে চলছে। এ ছাড়াও অনলাইনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ক্লাস নিচ্ছে। আমরা জরিপ করে দেখেছি, ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছতে পারছি। যাদের কাছে পারছি না, তদের কাছে পৌঁছতে ৩৩৩৬ নম্বরে ফোন কলের মাধ্যমে শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে পড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কমিউনিটি রেডিও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরও কীভাবে পৌঁছানো যায়, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি, নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক সিলেবাসগুলো মোটামুটি শেষ করে নিতে পারব। অনুকূল পরিবেশ হলে এইচএসসিসহ সব পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
জাহিদ হাসান রাসেল বলেন, সারা বিশ্বের মতো আমাদের যুব সম্প্রদায়ের অনেকেই আংশিক বা পুরোপুরি বেকার হয়ে যাবেন। এই হঠাৎ বেকার হয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর যারা গ্রামে চলে গেছেন বা যাবেন ভাবছেন, তাদের সেখানেই আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া এবং লোনের ব্যবস্থা করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। আগে লোনের ক্ষেত্রে যে সুদ দিতে হতো আমরা তা অর্ধেকে নামিয়ে নিয়ে এসেছি। এই মুজিববর্ষে কেউ যাতে বেকার না থেকে, সে লক্ষ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ নামে প্রকল্প চালুর ব্যবস্থা করেছি, যেখানে ২০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা বিনা জামানতে ঋণের সুবিধা দেব।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা এখন অনলাইনে আনুষ্ঠানিকতার বাইরে গিয়ে হাততালির চিন্তা বাদ দিয়ে আলোচনা করতে পারছি। এতে আমাদের মনোজগতের একটা পরিবর্তন এসেছে। এটা ডিজিটাল যুগের সুফল। তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো এখন অনেক শক্তিশালী, ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়, সেটা আজ বাস্তবতা। আমরা এখন ঘরে বসেই মন্ত্রণালয়ের কাজ করছি, ক্লাস নিচ্ছি, জরুরি মিটিং করছি। অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, অনলাইন শিক্ষার যে কয়টি পদ্ধতি আছে, প্রত্যেকটি পদ্ধতিতে সরকার ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিভাষ বাড়ৈ বলেন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে।